আদমদীঘিতে ছেলের মারপিটে বাবা হাসপাতালে


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: যে বাবা খেয়ে না খেয়ে, শরীরের ঘাম ঝড়িয়ে, ছেলের ভবিষৎ গড়তে নানা গঞ্জনা পাড়ি দিয়ে তিলে তিলে বড় করে বিয়ে সাদি করিয়েছেন, সেই জন্মদাতা বাবা অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছোলায়মান আলী (৬৮)কে পাষন্ড ছেলে আব্দুল মান্নানসহ অন্যরা আবারো বেধড়ক মারধর করে আহত করেছে।
স্থানীয়রা আহত ছোলায়মান আলীকে ছেলের কবল থেকে উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউপির কাশিমিলা গ্রামে।
আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি উপজেলার কাশিমিলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছোলায়মান আলী জানান, তার ১ম স্ত্রী অসুস্থ্য থাকায় ২০০৪ সালে ২য় বিয়ে করেন।
২০০৭ সালে তার ছেলেরা কৌশলে জমিজমা লিখে নেয়। ২০০৮ সালে তার ১ম স্ত্রী মারা যান। এরপর থেকে ছেলে আব্দুল মান্নানসহ অপর ছেলেরা ২য় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য চাপ ও হুমকি দিত।
এক পর্যায়ে ছেলেরা গত ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারী হত্যার উদ্দেশ্যে বাবা ছোলায়মান আলীর হাত পা রশি দিয়ে বেঁধে মারপিটে আহত করে। এ ঘটনায় বাবা ছোলায়মান আলী ছেলে আব্দুল মান্নান, তার স্ত্রী রুনাসহ ৬জনের বিরুদ্ধে আদমদীঘি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটির কোন সুরাহা হয়নি। সেই থেকেই ছেলেরা হুমকিসহ নানা ভাবে নির্যাতন করতো।
এর জের ধরে গত মঙ্গলবার (১০ মে) দিবাগত রাতে ছোলায়মান আলীর ছেলের স্ত্রীরা ধান সিদ্ধ করাকে কেন্দ্র করে পাষন্ড ছেলে আব্দুল মান্নান ও তার সহযোগিরা ক্ষিপ্ত হয়ে আবারো এলোপাথারী মারপিটে গুরুতর আহত করে তার বাবাকে।
এসময় চিৎকারে স্থানীয়রা আহত ছোলায়মান আলীকে ছেলের কবল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
ছোলায়মান আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান বলেন, তার বাবার সাথে শুধু কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে মারধর করা হয়নি। এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ মআসেনি বলে ওসি রেজাউল করিম জানায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.