ঘটনাটি ঘটেছে ০৬ আগস্ট রাতে উপজেলার ধামোর ইউনিয়নে অবস্থিত কাজী এন্ড কাজী চা বাগানে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরী গত ৬আগস্ট পঞ্চগড় সদরের গোয়ালপাড়া এলাকায় তার নানার বাড়ীতে বেড়াতে আসে। পুর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে ওই দিন বিকালে মালগোবা গ্রামের হাসান আলী ও রাজু ইসলাম তাকে আটোয়ারী উপজেলার ভারত সীমান্ত ঘেঁষা কাজী এন্ড কাজী চা বাগানে বেড়াতে নিয়ে যায়।
একপর্যায় সন্ধা ঘনিয়ে আসলে হাসান ও রাজু কিশোরীকে জোরপুর্বক ধর্ষন করে। এসময় পুরাতন আটোয়ারী এলাকার সবুজ নামের আরেক যুবক টের পায় এবং সে তার এলাকার আরো ৪জন যুবককে ডেকে নিয়ে ওই কিশোরীকে পুনরায় পালাক্রমে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। জ্ঞানহীন অবস্থায় পড়ে থাকা ধর্ষিতা রাত প্রায় ১১টার দিকে জ্ঞান ফিরে পেলে সে চিৎকার করে। মেয়েটির আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে তার নানার বাড়ীতে পৌঁছায় দেয়। নানার বাড়ীর লোকজন তাকে রাতেই চিকিৎসার জন্য পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে কিশোরীর স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটোয়ারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের মালগোবা গ্রামের মোঃ সমিজুলের পুত্র রাজু ইসলাম (২৮) এবং একই ইউনিয়নের পুরাতন আটোয়ারী গ্রামের মোঃ গিয়াস উদ্দীনের পুত্র সাইফুল ইসলাম (৪৮) নামে দুই ধর্ষককে রবিবার( ৭ আগস্ট) সন্ধায় আটক করেছেন।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে আটককৃতরা সহ আরো ৫ ধর্ষকের নামে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামী সহ অন্যান্য আসামীরা গা ঢাকা দিলেও পুলিশ তাদের অনুসন্ধানে তৎপর ছিল। অবশেষে গণধর্ষন মামলার প্রধান আসামী হাসান আলী পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়েছে।
আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা বিটিসি নিউজকে নিশ্চিত করে জানান, আলোচিত এ ঘটনায় পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে। বাকী ধর্ষকদেরও দ্রুত গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ্দ করা হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.