আগামী নির্বাচন নিয়ে নীল নকশা করছেন সরকার -আমীর খসরু

বিটিসি নিউজ ডেস্ক :  স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী  মন্তব্য করেছেন সরকার নির্বাচন নিয়ে নীল নকশা করছেন । তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকার নীল নকশা করছে, তারা যে নীল-নকশা করেছে, সেই নীল- নকশার অধীনে ক্রমান্বয়ে গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার সংঙ্কুচিত করতে এমন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে যে, আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি ও প্রতিপক্ষ থাকবে না। উনারাই রাজত্য করবে। আর সংস্থাগুলোকে সেভাবেই কাজে লাগাচ্ছে!

‘খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে না’- নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যে ব্লু প্রিন্ট তার অংশ হিসেবে সেনা বাহিনীকে নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় বাইরে রাখা হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সেনাবাহিনীর অধীনে যে ৪টা নির্বাচন হয়েছে, তার কোনোটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ছিল। আওয়ামী লীগ সেটা বাতিল করে দিয়েছে। সেনাবাহিনী সারাবিশ্বে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন। সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মানুষের আপদে-বিপদে সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছে। শুধু নির্বাচন থেকে সেনা বাহিনীকে বাদ দেওয়া পিছনের উদ্দেশ্যটা কি? শুধু নির্বাচন থেকে বাদ দিতে হবে! তাছাড়া বাংলাদেশের মানুষের সুখে-দুঃখে সেনাবাহিনী থাকবে। তারা ৪টি নির্বাচনে অংশ নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন জনগণকে উপহার দিয়েছে, তাহলে কেনো সেনাবাহিনীকে বাদ দিতে হবে? এ প্রশ্ন জনগণের মনেও জাগে। কারণ জনগণের যাতে কোনো জায়গা না থাকে, জায়গা শুধু আওয়ামী লীগের থাকবে।

সেনা মোতায়েন ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের দাবি ছিল উল্লেখ করে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন হবে, এগুলোও তাদের দাবি ছিল। কিন্তু সবগুলো তারা পরিবর্তন করেছে। সামান্য যেটুকু বাকি রয়েছে, সেগুলো মন্ত্রী-এমপি দিয়ে দখল করতে চাচ্ছে। আমার মতে, নির্বাচন ও গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশের মানুষদের জন্য তারা কোনো জায়গা রাখে নাই।

তিনি বলেন, নির্বাচনে কমিশন তাড়াহুড়া করেছে, যে নির্বাচনী এলাকায় মন্ত্রী-এমপিরা যেতে পারবেন কি না, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়ে গেছে। কিন্তু এর এক সপ্তাহ আগে আমরা ইসিকে কিছু শর্ত দিয়েছি, যেগুলো এখনো আলোচনায় আসে নাই। সংঙ্কুচিত করতে স্পেসকে এমন জায়গায় নিয়ে এসেছে যে, মন্ত্রী-এমপিদের পাঠিয়ে দখল করতে হবে এবং তাদের নিয়ে নির্বাচনে করতে হবে। মন্ত্রী-এমপিরা না গেলে পাস করা যাবে না! এত খারাপ অবস্থা হলে নিজেদেরকে রাজনৈতিক দল হিসেবে আর মনে করবেন না দয়া করে। রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা তাদের পরিচিতি হারিয়ে ফেলেছে- বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আমীর খসরু  মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় সংস্থা ও মন্ত্রী-এমপিদের বদৌলতে নির্বাচনে জিততে চায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.