রাজশাহীর বাঘায় নবম শ্রেণীর সাধারণ বিজ্ঞান বই পায়নি সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে সমস্ত নতুন বই তুলে দেয়ার কথা থাকলেও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ৪৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী এখনও সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ের বই পায়নি। বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির শিক্ষার্থীরা বই না থাকায় ক্লাস করতে পারছে না। ফলে অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

তবে চলতি বছরে নবম শ্রেণীর সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আর নতুন বই দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারী উপজেলার ৪৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকল বিষয়ের নতুন বই তুলে দেয়া হলেও এ পর্যন্ত নবম শ্রেণীর সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী এখনও সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ের বই পায়নি।

আড়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিহাব হোসেন, জেরিন আক্তার, রিফাত আল সাফি, মোকিবুর রহমান জানায়, প্রায় চার মাস পার হতে চলেছে। অথচ মানবিক বিভাগের গুনুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সাধারণ বিজ্ঞান বই। এখনও এই বিষয়ের বই পায়নি। ফলে পড়ালেখার বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে পাশাপাশি মারাত্মক সমস্যায় পড়েছি। কবে নাগাদ এই বই সরবরাহ করা হবে কিছুই জানিনা।

আড়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রায় সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করা হচ্ছে। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কয়েক দিন আগে নিজের ভূল শিকার করে বলেছেন, চলতি বছরে সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে আর নতুন বই দেয়া সম্ভব হবেনা। এই কথা জানার পর আমাদের বিদ্যালয় থেকে এ বছর যারা এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে, তাদের কাছে থেকে এই বিষয়ের বই সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। তবে বিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করা বই থেকে ৯৭ শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে।

বাঘা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, জেলা শিক্ষা অফিস আমাদের কাছে যে, তালিকা দিয়েছিল। সেই তালিকা অনুযায়ী বই এর চাহিদা পাঠানো হয়। সেই মোতাবেক সকল বিষয়ে বই সরবরাহ করা হলেও সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে দেয়া হয়নি। ধারনা ছিল কিছুদিন পর হয়তো আসবে। কিন্তু আসেনি। এখন সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থীদের নতুনভাবে বই সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা।

তবে শিক্ষকদের পাশ্ববর্তী এলাকায় থেকে বা পুরাতন বই সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে সরবরাহ করার জন্য আহবান জানিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, প্রথমের দিকে বিষয়টি আমাকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বই শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়নি জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.