অস্থির হয়ে পেঁয়াজ না কেনার আহ্বান : বাণিজ্যমন্ত্রী

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অনলাইনে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি ক্রেতাদের অস্থির হয়ে পেঁয়াজ না কেনার আহ্বান জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আমাদের সমস্যা আছে এবং সেই সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। সাধারণ মানুষের কাছে একটা ম্যাসেজ পৌঁছানো দরকার সেটা হলো যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কিনলে কোনো সমস্যা হবে না।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যেন অস্থির হয়ে না যায়। আমাদের এখনও পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ আছে। এছাড়া যদি কিছুটা কমও পড়ে সেটি আগামী ১ মাসের মধ্যে তুরস্ক, মিয়ানমার থেকে চলে আসবে। সবকিছু আমাদের হাতের নাগালেই আছে।’

এদিকে অনলাইনে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ- টিসিবি’র পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অনলাইনে অর্ডার দিয়ে একজন ক্রেতা ৩৬ টাকা কেজি দরে একদিনে আপাতত সর্বোচ্চ ৩ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।

এদিকে, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারী বিপণন সংস্থা টিসিবিও তাদের ট্রাকসেলে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আগে শুক্র ও শনিবার এই কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও গত শুক্রবার থেকে প্রতিদিনই এই কার্যক্রম চালু করেছে সংস্থাটি।

বর্তমানে ঢাকায় ৮০টি এবং চট্টগ্রামে ২০টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া, রংপুরে ৭টি, ময়মনসিংহে ৫টি, রাজশাহীতে ৫ টি, খুলনায় ৫টি, বরিশালে ৫টি, সিলেটে ৫টি, বগুড়ায় ৫টি, কুমিল্লায় ৫টি, ঝিনাইদহে ৩টি, মাদারিপুরে ৩টি ও বাকি জেলায় ২টি করে এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে টিসিবি।

তবে, আঞ্চলিক কার্যালয়ভুক্ত উপজেলায় অতিরিক্ত ৫টি ও বন্যা কবলিত জেলা ও উপজেলায় অতিরিক্ত ১৩টি ট্রাকে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।

গত সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধের ঘোষণা দিলে দেশের বাজার এই নিত্যপণ্যটির দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করে। সেই প্রেক্ষিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনেই পেঁয়াজের সরবরাহ ব্যবস্থার দুর্বলতা কাটাতে ই-কমার্সকে কাজে লাগানোর উদ্যোগের কথা জানিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গত সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অভ্যন্তরীণ চাহিদার বিপরীতে যোগান ঠিক রাখতে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন বন্দর এলাকায় আটকা পড়ে বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় থাকা পেঁয়াজভর্তি শতশত ট্রাক। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করেছে এমন ঘোষণা আসতে না আসতেই অস্থির হয়ে উঠে দেশের বাজার। এক রাতের ব্যবধানে রাজধানী ঢাকার আড়তগুলোতে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে যায় এই নিত্যপণ্যের দাম। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০ টাকা দরে। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। অনেক আড়তদার আবার বিক্রিও বন্ধ করে দেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.