অর্থ সংকটে জর্জরিত নাটোর চিনিকল

নাটোর প্রতিনিধি: প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কৃষকের আখের ২৬ কোটি টাকা বকেয়া নাটোর চিনিকলে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত প্রায় ৯শ শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তার ৩ মাসের বেতনের ৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা পাওনা। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

কৃষকের বকেয়া এবং বেতন-ভাতা পরিশোধে চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনে আবেদন করা হয়েছে বলে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

গত ২১ মার্চ চলতি বছরের মাড়াই মৌসুম শেষ হলেও নাটোর চিনিকলে কৃষকের ২৬ কোটি বকেয়া। এতে বিপাকে পড়েছেন আখ চাষে নির্ভর কৃষকেরা। আরেক মৌসুমের মাঠের আখ আবার বড় হয়ে উঠলেও টাকার অভাবে পরিচর্যা ও জমিতে সার দিতে পারছেন না তারা। পাওনা টাকার জন্য প্রতিনিয়ত চিনিকল কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্না দিয়েও কোন কাজ হচ্ছেনা।

কৃষকেরা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, সুগারমিলে কোন লোকজন নাই। গেলে কাওকে পাওয়া যায় না। তিন মাস হলো আমাদের কোন টাকা পয়সা দেয় না। না পারছি জমিতে চাষ দিতে না পারছি সার দিতে। একই অবস্থা চিনিকলটিতে কর্মরত প্রায় ৯শ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের।

৩ মাসের বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। কর্মচারীরা বলেন, জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কোন বেতন নাই। আমরা ঘরে বসে আছি। অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন যাচ্ছে।

এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম জিয়াউল ফারুক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, কৃষকদের পাওনা, চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১০ হাজার চাষি আছেন তারা ২৬ কোটি টাকা পাবেন।

শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তারা ৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা পাবেন। এই পাওনা অর্থায়নের জন্যে সদরদপ্তরে জানানো হয়েছে। ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর নাটোর চিনিকল আখ মাড়াই শুরু করে। চলতি বছরের ২১ মার্চ পর্যন্ত ১ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৯ হাজার ৬শ’ মেট্রিক চিনি উৎপাদন করে। এর মধ্যে সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন চিনি অবিক্রীত রয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.