অভ্যুত্থান আশঙ্কার পর রাস্তায় আর্মেনিয়ার জনগণ

(অভ্যুত্থান আশঙ্কার পর রাস্তায় আর্মেনিয়ার জনগণ–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রীর নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগ দাবীর পর সমর্থকরা রাজধানীতে র‌্যালি করেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

আর্মেনিয়ার মিত্র রাশিয়া বলছে, তারা সাবেক সোভিয়েত রিপাবলিক নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং সংবিধানের আলোকে পরিস্থিতি সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।

গত নভেম্বরে প্রতিবেশি আজারবাইনের সঙ্গে আর্মেনিয়া ছিটমহল নাগার্নো কারবাখ নিয়ে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ওই যুদ্ধে আর্মেনিয়া কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর ৪৫ বছর বয়সী পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবি উঠতে শুরু করে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগ দাবী জানায়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বর্তমান কর্তৃপক্ষের অকার্যকর ব্যবস্থাপনা এবং মারাত্মক ভুলের কারণে দেশ ধ্বংসের দ্বারাপ্রান্তে। বিবৃতিতে সেনাবাহিনী প্রধানের বরখাস্তের সমালোচনা করে বলা হয়, এটা দেশের জন্য দায়িত্বহীন , অযার্থ ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত।
এদিকে, আর্মেনিয়ার সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট কোচরিয়ান এবং সার্কিসিয়ান সেনাবাহিনীর সমর্থনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবী জানিয়েছেন। তবে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগে শক্তি প্রয়োগ করবেন কিনা সেটা নিশ্চিত নয়।
প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান সেনাবাহিনীর পদত্যাগের আহ্বানের পর তার সমর্থকদের রাজধানী ইয়ারেভেনে র‌্যালি করার আহ্বান জানান। ফেসবুক লাইভে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন তিনি ।
পাশিনিয়ার বলেন, এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো জনগণের হাতে ক্ষমতা রাখা। এসময় তিনি সেনা অভ্যুত্থান আশঙ্কার কথা বলেন। এরপর তিনি তার স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যাকে নিয়ে প্রধান সরকারি ভবনের বাইরে আসেন সেখানে তার কয়েক হাজার সমর্থক জড়ো হয়। উত্তেজনা বৃদ্ধি সত্ত্বেও সংঘর্ষ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) তীব্র শীত ও তুষারপাত উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় দিয়ে রাজধানী ইয়েরেভানে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার সরকারবিরোধী মানুষ। এ সময় তাদের অনেককে ‘নিকোল, তুমি দেশদ্রোহী’, ‘নিকোল, পদত্যাগ করো’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সাবেক সাংবাদিক নিকোল পাশিনিয়ান ২০১৮ সালে এক শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের পর ক্ষমতাগ্রহণ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর পদত্যাগের দাবি নাকচ করে দিয়ে বলছেন, যেটা ঘটেছে তিনি তার দায়িত্ব নিতে রাজি আছেন কিন্তু এখন দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে তার ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন। (সূত্র: রয়টার্স)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.