অভিষেকের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা পুলিশের মামলা, রাজনৈতিক মাইলেজের খোঁজে তৃণমূল

(অভিষেকের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা পুলিশের মামলা, রাজনৈতিক মাইলেজের খোঁজে তৃণমূল–ছবি: প্রতিনিধির)
কলকাতা-হাওড়া (ভারত) প্রতিনিধি: পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, রাজ্য সভার সাংসদ দোলা সেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলো ত্রিপুরা পুলিশ।
গত রবিবার (০৮ আগস্ট) ত্রিপুরায় খোয়াই থানায় গ্রেফতার হওয়া বাংলার তৃণমূলের ৩ যুবনেতা-নেত্রী সহ মোট ১৪ জনকে ছাড়াতে গিয়ে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন বলে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় উল্লেখ করেছেন থানার আই সি মনোরঞ্জন দেববর্মা। ধৃত তৃণমূল নেতাকর্মীদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা পুলিশকে বাধা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ।
কুণাল ঘোষ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, মিথ্যে মামলা দিয়েছে পুলিশ। তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, যদি সেটাই হয়ে থাকে তা হলে পুলিশ সেদিনই তা আদালতকে জানালো না কেন? তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের আইনজীবীদের গাড়ি সেদিন ভাঙচুর করেছেন বিজেপি সমর্থকরা। মহামারি আইন লঙ্ঘন করা সত্ত্বেও বিজেপির হামলাকারীদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
ত্রিপুরায় অন্তত একটা ব্যাপারে খুব তাড়াতাড়ি সাফল্যের মুখ দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। নিজেদের পায়ের তলার জমি শক্ত হওয়ার আগেই রেজিমেন্টেড শাসকদল বিজেপির রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে তারা। বিজেপির আগে রাজ্যে দীর্ঘদিন শাসনক্ষমতায় থাকা সিপিএমও এখন কার্যত রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার জন্য তৃণমূলকেই বিভিন্ন ইস্যুতে সমর্থনের রাস্তা নিয়েছে।
তৃণমূল যুবনেতাদের ওপরে হামলা ঘাসফুল শিবিরকে আরও সুবিধেজনক অবস্থায় নিয়ে এসেছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তাঁদের মতে, এবারে পুলিশের এই মামলা থেকেও রাজনৈতিক মাইলেজ পেতে পারে তৃণমূল। কারণ, ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে, ত্রিপুরায় পুলিশের আচরণই প্রমাণ করছে, ভয় পেয়েছে বিজেপি। গেরুয়া বাহিনী অবশ্য মোটেই গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূলের এই যুক্তিকে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা-হাওড়া (ভারত) প্রতিনিধি সৌম্য সিংহ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.