অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি! : বিশ্বের প্রথম সোনায় মোড়া “সিক্স স্টার” হোটেল ভিয়েতনামে

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সোনায় মোড়া টয়লেটের খবর শুনেছেন। এবার তৈরী করা হয়েছে সোনায় মোড়া হোটেল। এই সোনার হোটেলটি তৈরী করা হয়েছে ভিয়েতনামে। বলা হচ্ছে, এটিই বিশ্বের প্রথম সোনায় মোড়া হোটেল।

হোটেলটির নাম হচ্ছে ​“ডলচে হ্যানয় গোল্ডেন লেক”

ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে তৈরী হয়েছে বিশ্বের সর্বপ্রথম সোনার প্লেটে নির্মিত হোটেল। ২০০৯ সাল থেকে এই হোটেলের কাজ শুরু হয়েছে। এ বছরের শেষ দিকেই পুরোপুরি শেষ হতে পারে এই হোটেল নির্মাণের কাজ।

এটি একটি সিক্স স্টার হোটেল। এই হোটেল তৈরী করতে খরচ হয়েছে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার

হোটেলের ইন্টেরিয়ার এবং এক্সটেরিয়ার দুই ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়েছে ২৪ ক্যারেটের সোনা। পুরো হোটেল সোনার পাতে নির্মিত হলেও টয়লেট সিট থেকে শুরু করে লবি, ইনফিনিটি পুল, রুম এমনকি বাথরুমের শাওয়ারের মাথাটিও সোনা দিয়েই তৈরী করা হয়েছে। হোটেলে কোনও গেস্ট কফি খেতে চাইলে, তাকে সোনার কাপেই কফি পরিবেশন করা হবে। ডলচে হ্যানয় গোল্ডেন লেক হ্যানয়ের অন্যতম ট্যুরিস্ট আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কাজ কিছুটা বাকি থাকলেও গত কয়েক বছর ধরেই পর্যটকেরা হোটেলের সামনে ভিড় জমাচ্ছেন। হ্যানয়ের বা দিন জেলার গিয়াং ভো লেকের এক্কেবারে ধারেই তৈরী হয়েছে এই হোটেল।

ভিয়েতনামের প্রসিদ্ধ হোয়া বিন গ্রুপই তৈরী করেছে এই। হোটেলটির ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব সামলাচ্ছে আমেরিকান সংস্থা উইনধাম হোটেল গ্রুপ। হোটেলটির ভেতরে এবং বাইরেও পাঁচ হাজার বর্গমিটারের সিরামিক টাইলস বসানো রয়েছে। এই ধরনের টাইলস নির্মিত হয় সম্পূর্ণ সোনা দিয়েই। এই হোটেলে রয়েছে মোট ২৫টি তলা। আর ইমিউনিটি পুলটি রয়েছে একেবারে রুফটপে।

এদিকে সোনার হোটেল হলে কি হবে, রাত কাটানোর খরচ কিন্তু খুব বেশী না। এই হোটেলে রুম ভাড়া শুরু হচ্ছে ২৫০ মার্কিন ডলার থেকে। আবার এই হোটেলে অ্যাপার্টমেন্টও ভাড়া করার সুযোগ রয়েছে।

তবে সেই অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করার খরচ অনেক বেশী। সেক্ষেত্রে খরচ হবে ৬৫০০ মার্কিন ডলার

হোটেলের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হোয়া বিন গ্রুপের চেয়ারম্যান এনগ্যুয়েন হু ডুয়োং বলছেন, আমাদের গ্রুপেরই একটি ফ্যাক্টরি রয়েছে যেখানে আমরা খুব সস্তায় নানা ধরনের সোনার জিনিসপত্র বানাই। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে সোনায় মোড়া এই হোটেলে থাকার খরচ কম।

তবে করোনার কারণে তাদের ব্যবসা যে রীতিমতো ধাক্কা খেয়েছে, সে কথাটাও স্বীকার করে নিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। যদিও এই সংকটজনক পরিস্থিতি একবার চলে গেলে আবার যে তারা ঘুরে দাঁড়াবেন, সে বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ডলচে হ্যানয় গোল্ডেন লেক কর্তৃপক্ষ। (সূত্র: এই সময়)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.