অপমান সইতে না পেরে ভিকারুননিসা স্কুলের ছাত্রীর আত্মহত্যা
ঢাকা প্রতিনিধি: আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরে বাবা-মাকে শিক্ষক অপমান করায় গলায় ফাঁস দিয়ে অরিতী অধিকারী (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। অরিতী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শাখার নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পরীক্ষায় নকলের অপরাধে শিক্ষক অপমান করায় আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে ভিকারুন্নিসা নুন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি। সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা, তবে প্রতিবাদের সরব সহপাঠীরা। প্রশ্ন তুলেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষের নৈতিকতা ও গভর্নিং বডির ভূমিকা নিয়ে। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবিতে আগামীকাল থেকে পরীক্ষা বর্জনেরও ঘোষণা দিয়েছে অরিত্রির সহপাঠীরা।
অপমানের গ্লানি মাথায় নিয়ে অরিত্রি চলে গেছে। প্রিয় সন্তানকে হারানোর এই শোক কিভাবে সামাল দেবে তার পরিবার?
সহপাঠীরা বলে, ‘অরিত্রির বাবা-মাকে অনেক খারাপ কিছু বলা হয়েছে যা অরিত্রি সহ্য করতে পারিনি।’
এই দায় কার? জানতে চাইলে দায় এড়ানো বক্তব্য দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
তারা বলেন, স্কুলের কোন গাফিলতি আছে কিনা, বা কোনো অনিয়ম থাকলে পরে কোন ব্যক্তিই আইনের উর্ধ্বে নয়।
অরিতীর বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, অরিতীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার (০২ ডিসেম্বর) পরীক্ষা দেওয়ার সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের স্কুলে যেতে বলে। স্কুলে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ জানায়, তার মেয়ে পরীক্ষার হলে মোবাইলের মাধ্যমে নকল করছিল। তাই তাকে টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ খবর শোনার পর স্কুল থেকে অরিতী বাসায় ফিরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতাউর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঢামেক হাসপাতালে এসেছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারবো।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে অরিত্রিকে চলে যেতে হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন স্বজনরাও।#
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.