অনুমতি না নিয়েই সরকারী জমিতে স্থাপিত কেজি স্কুলের গাছ কর্তন


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে প্রশাসন ও বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই স্কুলের নামে সরকারী জায়গায় অবস্থিত লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বড় বড় দুটি মেহগুনি গাছ কেটে নিয়েছে, অধ্যক্ষ সাইদুজ্জামান লিটন।,

প্রকাশ্যে উপজেলা প্রশাসনের জায়গায় অবস্থিত গাছ দুটি ধরে কাটা হলেও উপজেলা প্রশাসন ও সামাজিক বন বিভাগ কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে।

আজ শুক্রবার (১২ জুন) সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ১৯৮৯ সালে লালপুর উপজেলা প্রশাসনের জায়গায় গড়ে তোলা হয় কাকলী কেজি স্কুল। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার ৩১ বছর পেরিয়ে গেলেও তারা নিজস্ব ক্যাম্পাস প্রতিষ্টা করেনি উল্টো সরকারী জমিতে থাকা দুটি গাছ কেটে নেয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য ও পরিবেশবান্ধব গাছ কেটে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নিজে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছেন।

গাছ কাটার সাথে জড়িতরা শ্রমিকরা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান,আমাদের ১০ টি গাছগুলো কাটতে বলেছেন স্কুলের অধ্যক্ষ। আমরা আজ থেকে গাছগুলো কাটছি। প্রশাসনের অনুমতি আছে কিনা তা আমাদের জানা নেই।

স্থানীয়রা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারী বাসভবনের মাত্র ১০ গজ দূরে তরতাজা গাছগুলো কাটা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থায় গ্রহণ করেনি। ১০ টি মেহগুনি গাছের অনুমানিক মূল্য ৫ লাখ টাকা । কাকলী স্কুলের অধ্যক্ষ সাইফুজ্জামান লিটন প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে । স্কুলের পাশ দিয়ে নর্থবেঙ্গল চিনিকলের বর্জ্য যাওয়ার কারণে কটুগন্ধে শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে টিকতে পারেনা । অনেকে অসুস্থ হয়ে পরে ।তারপরও স্কুলের সথায়ী ক্যাম্পাস যেমন নির্মাণ হয়নি। তেমনি প্রতিষ্ঠার তিনদশকে দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি । এর মধ্যে স্কুলের উন্নয়নে গাছ কাটার ঘটনায় এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ ।

স্কুলের অধ্যক্ষ সাইফুজ্জামান লিটন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, স্কুলের জায়গা আমাদের নয় এটা ঠিক কিন্তু গাছগুলো স্কুলের পক্ষে আমরা লাগিয়েছি ।ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি নিয়ে গাছগলো কাটা হচ্ছে। বন বিভাগ অনুমতি নেওয়ার কি আছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান,স্কুলের পক্ষ থেকেই অনেক আগে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে উপজেলা বনবিভাগ কিছুই জানেনা। কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, উপজেলা প্রশাসনের কাছে কাকলী স্কুলের পক্ষ থেকে রেজুলেশন সহ আবেদন করা হয়েছে। ঝড়েপড়া গাছের কথা বলা হয়েছে। আমি দেখেনি বলে তাদের অনুমতি দেয়নি। অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.