অচল পানগাঁও কন্টেইনার বন্দর সচলের উদ্যোগ

 

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি: ২০১২ সালে কয়েকশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার বন্দর। তবে পণ্য খালাসের কোনো তোড়জোর নেই বন্দরটিতে। প্রায় ছয় মাস ধরে অচল অবস্থায় পড়ে আছে বন্দরটি। কাস্টমস জটিলতাসহ নানা অনিয়মের কারণে ব্যবসায়ীরা পণ্য আনেন না এই বন্দরে। তাই লোকসান কাটিয়ে আলোর মুখ দেখেনি এ বন্দর।
শনিবার বন্দরটি লোকসানের কারণ জানতে পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বন পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়কমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরিদর্শন শেষে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা।
বৈঠক শেষে সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পণ্য ওঠানামায় কিছু জটিলতা আছে। এছাড়া বেশকিছু সমস্যা চিহৃিত করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে সঙ্কটের সমাধান হবে।
তিনি বলেন, এখানে বিপুল বিনিয়োগ করা হয়েছে। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজেক্ট। তিনি এই কন্টেইনার পোর্ট উদ্বোধন করেছিলেন। নদীপথে যেহেতু অনেক জাহাজ আসে, তাই সড়কে চাপ কমাতে তিনি এই পোর্ট চালু করেছিলেন। তাই এটিকে যে কোনো মূল্যে সাকসেসফুল করতে হবে এবং সবাই মিলে আমরা সেটি করতে পারবো।
চট্রগ্রাম বন্দর সচিব বলেন, বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কন্টেইনার ওঠানামা করতো। কিন্তু এখন এক হাজারও হয় না। তবে কেন এই সঙ্কট তৈরি হলো তার সদূত্তর দেননি কেউ।
এদিকে অনেকেই বলছেন, শ্রমিক অসন্তোস, কাস্টমস জটিলতাসহ নানা কারণেই বন্দরটির কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ প্রমুখ।
আমদানি-রপ্তানি সহজ করতে ২০০৫ সালে পানগাঁও অভ্যন্তরীন কন্টেইনার টার্মিনাল ৬৪ একর জমিতে ১৫৪ কোটি আট লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ২০১২ সালে। ৩৫ একর জমিতে আইসিটি ইয়ার্ড, চার হাজার ৬৮০ বর্গমিটার জেটি, ২৯ একর জমিতে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ও সড়ক নির্মাণ করা হয়। বছরে এক লাখ ১৬ হাজার টিইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা রয়েছে টার্মিনালটির। ২০১৩ সালের সাত নভেম্বর এর অপারেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জাহাঙ্গীর। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.