বিটিসি বিজ্ঞান–প্রযুক্তি ডেস্ক: ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) একটি স্যাটেলাইট বৃহস্পতির তিনটি বরফে আবৃত চাঁদ অনুসন্ধানের জন্য পৃথিবী থেকে উড্ডয়ন করেছে। ফরাসি গায়ানার কুরু স্পেসপোর্ট থেকে আরিয়ান-৫ রকেটে করে জুস স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা বাতিল হওয়ার পরে ইএসএ তার দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় শনিবার (১৫ এপ্রিল) সফলভাবে রকেটটি উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়েছিল।
জার্মানির ডার্মস্টাডে ইএসএ-র মিশন কন্ট্রোলের অপারেশন ডিরেক্টর আন্দ্রেয়া অ্যাকোমাজো বলেন, ‘আমাদের একটি মিশন আছে; আমরা বৃহস্পতির দিকে উড়ে যাচ্ছি; আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। জুস আসছে, বৃহস্পতি! এর জন্য প্রস্তুত হও!’
দেড় হাজার কোটি ইউরোর মিশন নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ায় গর্ব প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক জোসেফ অ্যাশবাকার। তিনি বলেন, ‘কিন্তু সবাইকে মনে করিয়ে দিতে হবে, এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। আমাদের সমস্ত যন্ত্রগুলো পরীক্ষা করতে হবে যাতে তারা প্রত্যাশিত হিসেবে কাজ করে এবং তারপরে অবশ্যই বৃহস্পতিতে পৌঁছায়। তবে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে বড় পদক্ষেপ নিয়েছি।’
সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতির প্রধান চাঁদ ক্যালিস্টো, গ্যানিমেড ও ইউরোপা পর্যবেক্ষণের জন্য জুপিটার আইসি মুনস এক্সপ্লোরার বা সংক্ষেপে জেইউএস পাঠানো হচ্ছে। এই চাঁদগুলোতে তরল পানির বিশাল জলাধার রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়।
সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে কিনা তা জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা। সৌরজগতের একেবারে শেষ প্রান্তে অবস্থিত বৃহস্পতি সূর্য থেকে এতটাই দূরে যে, পৃথিবীতে পৌঁছানো সূর্যের আলোর মাত্র ২৫ শতাংশ সেখানে পৌঁছায়। সুতরাং সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে বলে মনে করা কাল্পনিক মনে হতে পারে।
কিন্তু এই দৈত্যাকার গ্যাস গ্রহটি তার চাঁদের উপর যে মহাকর্ষীয় টান প্রয়োগ করে তা ইঙ্গিত দেয়, এতে একটি সাধারণ বাস্তুতন্ত্র চালানোর জন্য শক্তি এবং তাপ থাকতে পারে। যা অনেকটা পৃথিবীর মহাসাগরের নীচে আগ্নেয়গিরির গর্তগুলোর মতো। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.