বাগেরহাট শরণখোলায় তিন ছাত্রীকে পেটালেন শিক্ষক, একজনের অবস্থা ‘গুরুতর’
বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাট উপজেলা শরণখোলায় দক্ষিণ তাফাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর তিন ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে। আহত তিন ছাত্রীর মধ্যে জান্নাতুল মাওয়া (১৪) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর।
মাওয়ার বাবা মো.জাহাঙ্গীর হাওলাদার বিটিসি নিউজকে জানিয়েছেন,মাওয়ার পাজরে বেশ আঘাত লেগেছে। তার নিঃশ্বাস নিতেও বেশ কষ্ট হচ্ছে। মাওয়াকে প্রথমে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে কলেজের অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করে ভর্তি বাতিল করান। সামান্য কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে মাওয়াকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু রাতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ বুধবার সকালে মাওয়াকে খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত তিন শিক্ষার্থীর পরিবারর সূত্রে জানা গেছে,গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার দক্ষিণ তাফাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিন শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়ার পর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পাশের একটি দোকানে কলম কিনতে যায়। এতে তাদের ক্লাসে ফিরতে একটু দেরি হয়। এ জন্য চটে যান ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম খান। ওই তিন ছাত্রীকে বেধড়ক মারতে থাকেন তিনি।
গুরুতর আহত জান্নাতুল মাওয়া বিটিসি নিউজকে জানায়,শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তিন জনকেই বেত দিয়ে পেটাতে থাকেন। বেত ভেঙে গেলে মোটা লাঠি এনে মারতে থাকেন তিনি।
মাওয়ার ভাষ্য, ‘স্যার আমাদের তিনজনকে শুধু শুধু মারপিট করেছে। আমাকে মোটা লাঠি দিয়ে দুদফায় ১২ থেকে ১৫ মিনিট পিটিয়েছে।’
মাওয়ার বাবা জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন,‘মেয়েকে মারার খবর পেয়ে আমি স্কুলে গেলে আমাকেও ওই শিক্ষক শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘স্কুলের অ্যাসেম্বলিতে ওই তিন ছাত্রী অংশ না নেওয়ায় সামান্য মারধর দিয়েছি। এতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি।’
কলেজের অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায় বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি। তবে এটা খুব গুরুত্ব দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা নয়।#
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.