চন্দ্রপুলি পিঠা

বিটিসি রেসিপি ডেস্ক: আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী অনুষঙ্গের অন্যতম চন্দ্রপুলি পিঠা। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে এটি জনপ্রিয়। কিছু কিছু অঞ্চলে এটি কুলিপিঠা নামেও পরিচিত।
শুধু গ্রামেই নয়, বর্তমানে শহরেও প্রায় সব বাড়িতেই এই পিঠা বানানো ও খাওয়ার প্রচলন আছে:
শুকনা কিংবা দুধ বা রসে ভেজানো – সব রকমেই এ পিঠা খেতে ভালো লাগে। শুকনা, দুধ বা তেলে ভাজার ওপর ভিত্তি করে এই পিঠার বিভিন্ন ধরনের রূপভেদ আছে।
যেমন— তেলে ভেজে তৈরি করা চন্দ্রপুলিকে ভাজা, ভাজার বদলে বাষ্পের ভাপে সিদ্ধ করা চন্দ্রপুলিকে ভাপা, দুধের সিরায় ভাজাপুলিকে ভিজিয়ে বানানো চন্দ্রপুলিকে দুধ এবং দুধ ও খেজুরের রসের মিশ্রণে ভিজিয়ে বানানো চন্দ্রপুলিকে রস চন্দ্রপুলি বলে।
বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ে এই পিঠার কদর ও প্রচলন আছে:
ঈদ, পূজা-পার্বণ ও বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে এই পিঠা তৈরির রেওয়াজ আছে। পৌষ পার্বণে এই পিঠা বেশি বানানো হয়। নারায়ণ দেবের পদ্মপুরাণে বেহুলার বিয়ে উপলক্ষে পরিবেশিত মিষ্টান্নের মধ্যে চন্দ্রপুলির উল্লেখ আছে।
এ পিঠা আকারে অর্ধচন্দ্রাকৃতি; তাই এর নাম চন্দ্রপুলি রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
চালের গুঁড়ায় তৈরি পিঠার কাই দিয়ে বানানো রুটির ভেতরে নারকেল, দুধ ও চিনি বা গুড়ের মিশ্রণের পুর থাকে। পুর তৈরির সময় দুধের সঙ্গে এলাচি ও গুড় বা চিনি দিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে হয়।
এর পর নারকেল দিয়ে মাঝারি আঁচে অনবরত নাড়তে হয়। নারকেল শুকিয়ে ঘন এবং আঠালো হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে হয়। পুর তৈরি হয়ে গেলে চালের গুঁড়া, পানি ও লবণের মিশ্রণে তৈরি কাইকে ছোট ছোট করে রুটির মতো বানিয়ে ভেতরে নারকেলের পুর ভরে সাইডগুলো সিল করে দিতে হয়।
এরপর তেলে ভেজে নিলে তৈরি হয়ে যায় ভাজা চন্দ্রপুলি:
সুস্বাদু এই পিঠা ছেলে-বুড়ো সব বয়সের মানুষ পছন্দ করে। তবে এই পিঠা মিষ্টিজাতীয় বলে অতিরিক্ত খেলে ডায়াবেটিস রোগের আশঙ্কা বাড়ে এবং যারা ডায়াবেটিক তাদের সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.