খুলনায় ফটো সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় চিকিৎসকসহ ৪জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট

খুলনা ব্যুরো: ফটো সাংবাদিক শেখ শান্ত ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলায় মারধোর ও ক্যামেরা ভাংচুরের ঘটনায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন রায়সহ চার জনের নামে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিশপুর থানার এসআই মিঠুন দত্ত খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে এ চার্জশীট (প্রদিবেদন) জমা দিয়েছেন।

চার্জশীটে অভিযুক্ত অন্যান্য আসামীরা হলেন, জংশন রোডের এস,এম পয়েন্ট কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক হান্নান মোল্লা (২৫), জংশন রোডের কড়াই কোম্পানির আবাসিক প্লটের মোঃ ইউসুফের পুত্র মোঃ রাব্বি (২৪) ও বৈকালী ঝুড়িভিটার মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র ওয়াহিদুল ইসলাম চাঁন (২৬)।

আদলতে পাঠানো প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত ২৭ জুলাই দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক সংযোগ বাংলাদেশ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক শেখ শান্ত ইসলাম খুলনা সিএসডি গোডাউন সংলগ্ন জংশন রোড দিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করার জন্য যাচ্ছিলেন। এসময় বৈকালী ইউসেপ স্কুলের সামনে গেলে ডাঃ সুমন রায়ের ঢাকা মেট্রো-গ-২৮-১৬৮০ নম্বরের প্রাইভেট কারটি এলোমেলোভাবে চালিয়ে শেখ শান্ত ইসলামের মোটরসাইকেল ধাক্কা মারার চেস্টা করে। ফটো সাংবাদিক শান্ত ইসলাম গাড়ির ভিতরে থাকা ডাঃ সুমন রায়কে এলোমেলোভাবে গাড়ি চালানো ও ধাক্কা মারার বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে গাড়ি থেকে নেমে শান্ত ইসলামকে মারধোর করা শুরু করেন। পার্শবর্তী এস,এম পয়েন্ট কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্য থেকে হান্নান মোল্যা, মোঃ রাব্বি ও চাঁন লাঠিসোটা নিয়ে বেরিয়ে এলে ডাঃ সুমন রায়ের নিদের্শে তারা শান্তর উপর হামলা করেন। তারা প্রত্যেকেই শান্তকে মারধোর করে রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় শান্তর ব্যবহাহৃত ক্যামেরা সড়কের উপর আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে হান্নান মোল্যাকে এবং পরে রাব্বি ও চাঁনকে গ্রেফতার করে আদলাতে পাঠায় পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিঠুন দত্ত প্রায় সাড়ে ৩ মাস মামলাটি তদন্ত করে ডাঃ সুমনসহ অন্যান্য আসামীরা ঘটনার সাথে জড়িত বলে প্রমান পান। ফলে তিনি আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা মিঠন দত্ত জানান, মামলার চারজন আসামীর মধ্যে হান্নান মোল্যা, মোঃ রাব্বি ও চাঁন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। আসামী সুমন রায়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করার জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করেছেন। মামলার বাদী ফটো সংবাদিক শেখ শান্ত ইসলাম জানান, মামলা প্রত্যাহার করার জন্য ডাঃ সুমন রায় তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন। আদালতে চার্জশীট প্রদান করায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

তবে ডাঃ সুমন রায় বলেন, তার সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি অন্যান্য আসামীদের মারধোর করার জন্য নিষেধ করেছেন। তবে তিনি কাউকে মারধোর করেননি বলেও দাবি করেন।#

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলা উদ্দিন।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.