কানসাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী শত বছরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কানসাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকে মোঃ শাহজাহান আলী’র বিরুদ্ধে কানসাট উচ্চ বিদ্যালয় জামে মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১ হাজার ৯৮৭ জন পরীক্ষার্থী কানসাট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করে। প্রত্যেক নিয়মিত পরীক্ষার্থী ৪৫০ টাকা এবং অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ৪০০ টাকা করে কেন্দ্র ফি জমা দেয়। তদুপরি প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলীর হুকুমে মানবিক বিভাগের ১ হাজার ৩৪০ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের ৬৪৭ জন পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১১০ টাকা করে সর্বসাকুল্যে অতিরিক্ত ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৭০ টাকা অবৈধভাবে আদায় করা হয়।
এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান আলী এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কানসাট উচ্চ বিদ্যালয় জামে মসজিদের চলমান উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০ টাকা হারে সহযোগিতা ধার্য করা হয়। সেখানে ১৯ হাজার ৮৭০ টাকা হলে প্রধান শিক্ষক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মসজিদ কমিটির হাতে মাত্র ৭ হাজার টাকা দিলে মসজিদ পরিচালনা কমিটি তা প্রত্যাখান করে। পরবর্তিতে প্রধান শিক্ষক সমুদয় টাকা নিজ পকেটে রাখে।
অপরদিকে, ধারাবাহিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় কানসাট উচ্চ বিদ্যালয়র ১৩৪ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে ১৩ হাজার ৪০০ টাকা আদায় করার কথা উঠে আসে। তাছাড়াও কোন হিসাব নিকাশ ছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ অভিযোগ রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান আলীর প্রশাসনিক অদক্ষতা, অফিস সহকারী মোঃ হামিদুর রহমান (অবসরপ্রাপ্ত)কে দিয়ে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সমস্ত কাজ করানো, শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন, পক্ষপাতিত্ব, নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রধান অফিস সহকারীর বদলে পিয়ন দিয়ে অফিসের যাবতীয় কাজ করাসহ নানা অভিযোগে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কানসাট উচ্চ বিদ্যালয় জামে মসজিদের সভাপতিসহ একাধিক সদস্য বিটিসি নিউজকে বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে মসজিদের উন্নয়নের জন্য যে টাকা তোলা হয়েছে, সব টাকা মসজিদ কমিটির কাছে জমা দিতে হবে, কম দিলে টাকা গ্রহণ করা হবেনা।
এসব বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীন বিটিসি নিউজকে বলেন, এসব বিষয়ে আমার করার কিছু নাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জ্বল হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.