সাতক্ষীরায় ট্রাফিক পুলিশের ভৃমিকায় সড়ক রোধে দায়িত্ব পালন করছে শিক্ষার্থীরা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সড়কে বিশৃঙ্খলা রোধে সাতক্ষীরায় ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রন ও পরিষ্কার পরিচ্ছনতার কাজ করছে কোটা সংস্কার আন্দলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচলে অনেকটাই গতি ফিরেছে, একই সঙ্গে সড়কে সেই চিরচেনা যানজট না থাকায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
স্বাভাবিক হতে শুরু হয়েছে মানুষের জীবন যাত্রা। বুধবার সকালে শহরের খুলনা রোড মোড়, পাকাপোল মোড়, জজকোর্ট মোড়, সদর হাসপাতাল মোড়, এসপি বাংলো মোড়, বড় বাজার সড়কসহ কয়েকটি জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়কের যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
সাতক্ষীরা জেলার সমন্বযক হাফেজ আনিসুর রহমান বলেন, শহরে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্বে না থাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছিল, একারণে আমরা গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওযা পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।কোটা আন্দোলনের সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে পৌরসভার ময়লার স্তুপে রাখা হয়। পাকাপোল মোড়ে আল মামুনের নেতৃত্বে এ সময দাযত্বি পালন করেন জহির হাসান,নাইমুল ফারহান, আকদাস হোসেন,তালহা, রাহাত, রাধিন সহ অনেকে।
এদিকে দেশে চলমান সহিংসতা রোধে জনগনকে শান্ত ও ধৈর্য্য ধারনের জন্য সেনাবাহির পাশাপাশি সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে সড়ক-মহাসড়কে দিন-রাত মাইকিং করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্যহন।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি ভারতে চলে যান। এই খবর প্রচার হলে সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা ও সহিংসতায় আওয়ামী লীগের সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ-বিএনপির ১৪ জন নিহত হন।
এছাড়াও বিক্ষুব্ধ জনতা সাতক্ষীরা সদর থানা, ট্রাফিক কার্যালয় ও শ্যামনগর থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় থানাগুলোয় বর্তমানে কোন পুলিশ সদস্য নেই। সেখানে বর্তমানে আনসার সদস্যরা দায়ীত্ব পালন করছেন।
একই ধরনের দাবি তুলে বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হায়দার আলী বলেন, আমি সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে সফট সেল কাঁকড়ার ৫০ হাজার টাকা আজও পাব। আমার টাকা একটু কম হলেও অন্য পাওনাদাররা মোটা অঙ্কের টাকা পাবেন।
করোনা মহামারির সময়ে সাকিব আল হাসানের কাঁকড়া হ্যাচারি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর জমির মালিকদের বছরে চুক্তির টাকা দিতেও গড়িমসি করা হয়। তখন মানববন্ধনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন তারা। এসব নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর জমির মালিকরা টাকা পান।
জমির মালিকদের একজন দাতিনাখালি গ্রামের মোরালী কয়াল। তিনি বলেন, টাকা পেতে অনেক ঝামেলা হয়। আগে টাকা নিতে গিয়ে আন্দোলন করতে হয়েছে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তিপত্রের মেয়াদ রয়েছে। এরপর আমরা আর কেউ জমি লিজ দেব না। আমরা জমির মালিক রয়েছি ১০-১২ জন।
তিনি আরও বলেন, সাকিব আল হাসান অবৈধভাবে আমাদের জমির ওপর বিল্ডিং নির্মাণ করেছে। চুক্তিপত্রে সেটি উলে­খ ছিল না। এখন সেখানে কেউ থাকে না। খামার বন্ধ হওয়ার পর থেকে তাদের এখানে দেখাও যায় না। সেভাবেই পড়ে রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মো. সেলিম হোসেন #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.