রাষ্ট্রদূতের অনুরোধ: জাপানের চলমান প্রকল্পগুলোতে যেন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: বাংলাদেশে জাপানের চলমান প্রকল্পগুলোতে যেন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোর অনুরোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি, রাশিয়া ও জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। জাপানের রাষ্ট্রদূত আমাদের স্বাগত জানিয়েছেন। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে জানিয়েছি যে জাপান সম্পর্কে আমাদের ভালো অবস্থান আছে, সেটা তারাও জানে। তারা যে টাকা দেয় সেটি এখানে থেকে যায়।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আমি তাদের সহায়তা চেয়েছি। আমি বলেছি আপনাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক সবসময় ভালো। কাজেই আপনারা সহায়তা করুন। তিনি অনেক প্রসঙ্গ তুলেছেছেন। কারণ এক হাজার লোক নিয়ে গেলে তো কাজ হবে না। তাদের নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা থেকে শুরু ফ্লাইটে নিতে নিতে এক হাজার বাচ্চা জন্ম হয়ে যাবে। কাজেই যেটা করতে হবে একটা সাসটেইনেবল রিটার্নের ব্যবস্থা করতে হবে। আমি এমনকি তাদের নাগরিকত্বের প্রশ্নও তুলিনি। কিন্তু তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং তাদের অর্থনৈতিক বিষয়- এ দুইটি বিষয়ে যেন আমাদের সহায়তা করে। আমরা বলেছি আমরা আর কোনো রোহিঙ্গা নিতে পারবো না। পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে। মিয়ানমারের সীমান্তে আরো দেশ আছে দরকার হলে তারা নেবে।
তিনি বলেন, জাপানের অনেক লোন প্রোগ্রাম চলমান আছে। বরং তারা সহায়তা চেয়েছে যে প্রকল্পগুলো চলমান আছে সেগুলোতে যেন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়। ক্ষেত্র বিশেষে তো রিভিশন হতেই পারে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেহেতু রাশিয়ার বিরুদ্ধে তো নিষেধাজ্ঞা আছে। আমরা তো যুদ্ধ করতে যাবো না, পারবোও না। কাজেই আমাদের যেটি করতে হবে সেটি হলো নিষেধাজ্ঞার ভেতর দিয়ে আমরা যেটুকু সহায়তা করতে পারি যেটুকু ইন্টারেকশন করতে পারি সেটুকু করতে চাই। কারণ রাশিয়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরাট সহায়তা করেছে। ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো যদি তারা তিনটা ভেটো না দিতো আমাদের পক্ষে। সেই কৃতজ্ঞতা আমাদের আছে। তাদের নাগরিকদের কবরও এখানে আছে, সেটা নিয়ে বলেছি রাশিয়ার মানুষদের আমরা বন্ধু মনে করি। তবে আমাদের সেইফ পথে চলতে হবে।
তিনি বলেন, রূপপুরের ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা বলেছি অবশ্যই এটি করবো। এটা শেষ না হলে তো ফলাফল পাওয়া যাবে না, তাই সহযোগিতা করবো বলে জানিয়েছি।
সরকার একটি নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে যথাসময়ে সরে যাবে বলেও জানান উপদেষ্টা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: আমিনুল ইসলাম শিকদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.