রংপুরের গংগাচড়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরের গংগাচড়া জয়রামওঝা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলদার হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও সরেজমিনে গিয়ে প্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বহাল তবিয়তে টাঙ্গিয়ে রেখেছে ওই শিক্ষক।
গত ২১ ই মে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এবং তাকে প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্ব অর্পণ না করা প্রসঙ্গে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই এলাকার স্থানীয়রা। কিন্তু অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ- কোনো ধরনের নিয়মনীতি না মেনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনে তার ইচ্ছেমতো স্কুল চালাচ্ছেন। নিজের মতো করে আসেন বিদ্যালয়ে, ছুটিও দেন ইচ্ছে মতো । বিদ্যালয়ে এসে কোনো রকমে দু-একটি ক্লাস নেন। এরপর বাড়ি চলে যায় তিনি। এছাড়াও অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মারধর করেন।
ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, দেলদার হোসেন বিভিন্ন সময় স্কুলের উন্নয়নের কথা বলে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাছাড়া প্রায়ই বিদ্যালয়ে আসেন না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বিদ্যালয়ের অনিয়ম নিয়ে না না অভিযোগ দেয়া হলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের খুঁটির জোরে প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছেন তিনি।
এদিকে দিলদার হোসেনের কক্ষে সোমবার সরেজমিনে গেলে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ঝুলানো দেখা যায়। এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা স্কুলে সমবেত হয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিলদার হোসেনের পদত্যাগ দাবি করেন।
বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন ২০২৩ সালে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দিলদার হোসেনের অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে এবছর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া সহ বিষয়টি আমলে নেয় প্রশাসন। তারপরেও কোন খুঁটির জোরে বহাল তবিয়তে এই শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেলদার হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর প্রতিনিধি এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.