রংপুর কারাগারে বন্দী মৃত্যু, পরিস্থিতি সামলাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন (ভিডিও)

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একজন কয়েদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উত্তেজনা বিরাজ করলেও বিকেল থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে শাহজাহান ও মোতালেব নামের দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর গাছ থেকে আমড়া পেড়ে খাওয়ার ঘটনায় দুই কয়েদির মধ্যে বিরোধ বাধে। এতে বাহারুল (৫৬) নামের এক কয়েদি মারা যান। তাঁর বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি একটি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি বলে কারা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
গোলাগুলি ও বন্দী কয়েদিদের উত্তেজনার ঘটনায় রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও পরবর্তী মুঠোফোনে জানান, একজনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারাগারের ভেতরের বন্দীরা প্রধান ফটক ধাক্কাধাক্কি করার চেষ্টা করলে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন এবং কারাগারের উত্তেজনার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে শাহজাহান ও মোতালেব নামের দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় একটি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারাগারে বন্দীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ও সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কারাগারে যান। তাঁরা বিক্ষুব্ধ বন্দীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান জানান, গাছ থেকে আমড়া পেড়ে খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদের এক পর্যায়ে রফিকুল নামের এক বন্দী বাহারকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। কারাগারের কর্তব্যরত নার্স এসে বাহারের শরীরের পালস পাচ্ছিলেন না। তাঁকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সকাল নটার আগে  তিনি মারা যান।
কারাগারের পাশে মেডিকেল মোড় এলাকার মাটি মামুন,আসাদুজ্জামান, শরিফুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে কারাগারের ভেতর থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন। এ সময় লোকজন ছোটাছুটি করছিলেন। রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলোকে থামিয়ে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কারাগারের সামনে প্রধান ফটকে প্রধান অবস্থান নেন। কারাগারের ভেতর থেকে বিক্ষুব্ধ কয়েদিদের স্লোগান শোনা যাচ্ছিল। এতে স্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর প্রতিনিধি এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.