যুদ্ধের দামামা: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ সুখর ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের জেরে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
গত বুধবার এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছে হানিয়া। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করে হামাস ও ইরান।
ইরান জানিয়েছে, হানিয়ার হত্যাকারী দেশকে কঠোর মূল্য দিতে হবে। সেইসঙ্গে হামাস ও হিজবুল্লাহও প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (২ আগস্ট) পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মার্কিন সেনা ও ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিতে তারা মধ্যপ্রাচ্যে আরও যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনও মধ্যপ্রাচ্যে আরও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ডেস্ট্রয়ার মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং বলেছেন, ইরান ও তাদের পার্টনার বা প্রক্সিদের মাধ্যমে এই অঞ্চলে সম্ভাব্য উত্তেজনা কমাতে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ তাদের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ জানায়, বাইডেন নেতানিয়াহুকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের কাছ থেকে আসা সব ধরনের হুমকি থেকে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দেবে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অঙ্গীকার থেকে বিচ্যুত হবে না।
দুই নেতা ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা ঠেকাতে প্রয়োজনে ইসরায়েলে মার্কিন সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা ও প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলাপ করেছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.