যুদ্ধের আশংকা বাড়ায় মধ্যপ্রাচ্যে সাবমেরিন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হামাস এবং ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ নেতার হত্যাকাণ্ডের পর উত্তেজনা বাড়তে থাকায় মধ্যপ্রাচ্যে একটি মিসাইল সাবমেরিন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে একটি বিমানবাহী রণতরী মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন।
রোববার ( ১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ নির্দেশ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অস্টিন এবং ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের মধ্যে টেলিফোনে আলোচনার পরই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।
লয়েড অস্টিন আরও জানান, ইরানের যেকোনো আক্রমণ থেকে ইসরাইলকে রক্ষা করতে সংকল্পবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। তিনি আরও জানান ইরানের সব রকম হামলা থেকে মিত্র ইসরাইলকে সহায়তা করতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেবে ওয়াশিংটন।
তেহরানে ৩১ জুলাই হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার ঘটনায় ইরান কীভাবে এবং কখন প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান অস্টিন। 
কারণ হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর এর জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে কঠোর প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। ইসরাইল এর দায় স্বীকার না করলেও এর পেছনে ছিল তেল আবিব জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। 
এদিকে রোববার ( ১১ আগস্ট)  এক বিবৃতিতে পেন্টাগনও জানিয়েছে অস্টিন মধ্যপ্রাচ্যে  ইউএসএস জর্জিয়া গাইডেড মিসাইল সাবমেরিন পাঠিয়েছেন। এতে আরও বলা হয়, এফ-৩৫সি যুদ্ধবিমান বহনকারী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন রণতরীও সেখানে পাঠানো হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে ইরান কী পরিকল্পনা করতে পারে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও ইসরাইলের ওপর আরেকটি  হামলা চালাতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। কারণ বৈরুতে হিজবুল্লাহ নেতা ফুয়াদ শৌকরের হত্যাকাণ্ডের পর ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গিকার করেছিল লেবাননের এই গোষ্ঠীটি। তেহরানে হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা আগে হিজবুল্লাহ নেতাকে হত্যা করা হয়।
কিন্তু রোববার রাতে যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরায় শুরু করার যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলেছে, ইসরাইলকে চুক্তি বাস্তবায়নে বাধ্য করা উচিত।
১৫ আগস্ট মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টায় আবারও গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.