মার্কিন সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে বৈরুতে ইসরায়েলি হামলা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে বিমান হামলা চালিয়ে ইসরায়েল। এই হামলায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহর এক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। যদিও বৈরুতে যেকোনো ধরনের হামলা থেকে বিরত থাকতে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছিল প্রধান বিদেশি মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাতে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দাহিয়েহ শহরে এই বিমান হামলা হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণে অন্তত একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের টার্গেট ছিলেন ফুয়াদ শুকর। তিনি হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষ কমান্ডার। তাকে হত্যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে এই হামলা করা হয়েছে। তবে হামলায় ফুয়াদ শুকর নিহত হয়েছেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বৈরুতের একটি নিরাপত্তা সূত্র বলছে, তিনি ওই ভবনে ছিলেন না। আর এ বিষয়ে এখনো কোনো বিবৃতি দেয়নি হিজবুল্লাহ।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি, গত শনিবার (২৭ জুলাই) ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমিতে যে রকেট হামলা হয়েছে তার জন্য ফুয়াদ শুকর দায়ী। ওই রকেট হামলায় ১২ শিশু ও কিশোর নিহত হয়েছে। ইসরায়েল এই হামলার পেছনে হিজবুল্লাহকে দায়ী করলেও তা অস্বীকার করেছে ইরানপন্থী শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি ইসরায়েলি এই আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি একে অপরাধমূলক কাজ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একইসঙ্গে এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।
হামলার পরপর সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত পোস্টে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, হিজবুল্লাহ রেড লাইন অতিক্রম করেছে।
গত শনিবারের হামলার পর থেকেই ইসরায়েল ও হিজবুল্লার মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। প্রাণঘাতী এই হামলার পাল্টা জবাব দেয়ার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল তেল আবিব। তবে বৈরুতে হামলা হলে দু’পক্ষের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ বেধে যেতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ইসরায়েলকে বৈরুতে হামলা চালানো থেকে বিরত থাকতে বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তার তোয়াক্কা না করে শেষ পর্যন্ত হামলা চালালো নেতানিয়াহুর বাহিনী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.