বিভাবরী সূর্যটা উঠবেই… সোহানী হোসেন
সোহানী হোসেন: আমাদের জীবদ্দশায় এমন সংকট আসবে, কেউ হয়তো কখনো কল্পনাও করেনি। করোনা ভাইরাসের দিনগুলোতে মানুষের খাদ্য-চিকিৎসার অনিশ্চয়তার পাশাপাশি কাজ হারানোর অনেক অনেক গল্প শুনছি বেশ কিছুদিন ধরে।
এর ভয়াবহতা যত বেড়েছে, মানুষের হাহাকার কানে এসেছে। শেষ দুই মাস শুনেছি অমুক প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ছাঁটাই করেছে, তমুক প্রতিষ্ঠান বেতন দেয়নি।
মানুষের দুর্দশার কথা শুনে আর ভবিষ্যতের ভাবনায়, অসুস্থ শরীরে ভাবনার জাল আমার ছটফটানি বাড়িয়েছেই শুধু। গতমাসের বেতন দিয়েছি টানাটানি সত্বেও।
লকডাউনে একে একে বন্ধ আমাদের গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কি হবে এই মাসে? রাত জেগে থাকতে থাকতে ফজরের আজানের ধ্বনি ভেসে আসে কানে, ‘আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম’ আমি জানি ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম।
আজান হয়েছে কিন্তু আমার সেহরি খাওয়া হয়নি। আমি শিখেছি- বেঁচে থাকা নয়, সবাই মিলে ভালো থাকা। আমরা ভাবনা জুড়ে ইউনিভার্সাল পরিবারের সেই সব মানুষগুলোর মুখ- যাঁদের উপর নির্ভর করে বাঁচে তাঁদের পরিবার, আর তাঁদের সবার নির্ভরতা আমি। পরামর্শ দাতারা বলেন অন্যদের অনুসরণ করতে! কিন্তু আমি তো হার না মানা যোদ্ধা।
কর্মীদের কারো চাকরি যাবে না এটা আমার অঙ্গীকার , আর ঘরে থাকলেও, কাজে না থাকলেও আমার সন্তানের মত কর্মীদের প্রত্যেকের সম্পুর্ণ বেতন আমি ৩ তারিখের মধ্যেই পৌছে দিতে পেরেছি তাঁদের হাতে। আলহামদুলিল্লাহ্।
সামনে কি অপেক্ষা করছে তা’ জানিনা। হয়তো ভয়াবহ না হয় সুন্দর সময়- যেমন অবস্থাই হোক, আমি জানি সর্বস্ব নিয়ে আমি থাকবো ওদের পাশে। আমার সাহস ইউনিভার্সাল পরিবারের প্রতিজন কর্মী, আমার সাহস ইউনিভার্সালের সেরা মানের সব পণ্য।
লেখক- ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউনিভার্সেল গ্রুপ এবং দেশের খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যক, গীতিকার।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.