বিদেশী মহলের ইন্ধনে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত একটি মহল – খুলনায় হিন্দু নেতৃবৃন্দ

খুলনা ব্যুরো: বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্ট এর নেতৃবৃন্দ বলেছেন,শত শত শহীদের বুকের তাজা রক্ত আর লাখাে ছাত্র জনতার অভূতপূর্ণ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে বিজয় এসেছে বাংলার মাটিতে, তাকে প্রশ্নবিদ্ধ বিতর্কিত ও সমালােচিত করতে একটি গোষ্ঠী উঠে পড়ে লেগেছে। যাদেরকে ইন্ধন দিচ্ছে বিদেশি একটি মহল। যারা বাংলাদেশের শান্তি, উন্নতি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায়না। বাংলাদেশকে যারা তাদের করদ রাজ্য বানিয়ে রাখতে চায়। তাদের স্বার্থ উদ্ধারের পথ বানিয়ে রাখতে চায়।আমার তাদের এহেন তৎপরতার তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে এই ঘৃণ্য তৎপরতা থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে বলতে চাই, অন্যথায় বাংলাদেশর সব সম্প্রদায়ের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে আপনাদেরকে মোবাবেলা করবে।
আমাদের অর্জিত সাফল্যকে কোন কুচক্রী প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির অপতৎ্পরতার কাছে আমরা ম্নান হতে দিতে পারিনা।
আজ সোমবার দুপুরে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্টের খুলনা মহানগর সদস্য সচিব সত্যানন্দ দত্ত।উপস্থিত ছিলেন ফ্রন্টের জেলা আহবয়ক ডা: প্রদীপ দেবনাথ,ব্রজেন ঢালী,সুজানা জলি,উজ্জ্বল কুমার সাহা,জয়বদ্ধ,প্রিয়াংকা দেবনাথ ও সুজিত বিশ্বাস।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতনের পর খুলনা মহানগর ও জলায় বিচ্ছিন্নভাবে বেশ কিছু সংঘাত,সহিংসতা, লুটপাট ও দখলের ঘটনা ঘটেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও বসতবাড়িতে হামলা লুটপাট হয়েছে। বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমাজ কর্মিরা উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাত দিন এলাকায় এলাকায়, পাড়া মহল্লায় পাহারা দিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে জনগনের জানমাল ও সম্পদ রক্ষায় তাদের নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে তাদের প্রচেষ্টা এখনও অব্যাহত রেখেছেন। তারপরও কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে সব ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেখানে মুসলমান, হিন্দু বা খ্রিষ্টান বলে কোন ভেদাভেদ নেই।
আমরা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষটান কল্যাণ ফ্রন্ট খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাতে চাই যে,খুলনা মহানগর ও জেলায় কোন মন্দিরে হামলার একটি ঘটনাও ঘটেনি। বেশ কিছু হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও ঘের দখলের মতো ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে সে সব হামলা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়ার কারণে হয়নি। এই ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের শাসনামলে আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় জনতা এসব হামলা করেছে। আমরা লক্ষ্য করবেন যে, হামলা ভাংচুরের ঘটনায় কোন এলাকায় যদি ১০ জন মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন, সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হয়তো একজন। এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করা বা কোন মিথ্যা প্রমানের কোন সুযোগ নেই।
ফ্যাসিবাদী শাসকের পতনের পরপরই একটি গােষ্ঠী বা মহল অন্যসব সহিংস ঘটনাক পাশ কাটিয়ে দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হচ্ছে বলে পরিকল্লিত প্রপাগান্ডায় লিপ্ত হয়েছে। মন্দিরে হামলা প্রতিমা ভাঙচর, বাড়িতে লুটপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ইত্যাদি অভিযােগ আসছে নানা মিডিয়ায়। আর সােশ্যাল মিডিয়ায় একটি গােষ্ঠী এসব সাজানো প্রতিবেদন ভাইরাল করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
আমরা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট খলনা মহানগর ও জেলা শাখার পক্ষ থেকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আপনাদেরকে জানাতে চাই যে খুলনা মহানগর ও জেলায় কােন মন্দিরে হামলার একটি ঘটনাও ঘটেনি। বেশ কিছু হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও ঘের দখলের মতোে ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে সে সব হামলা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়ার কারণে হয়নি। এই ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের শাসনামলে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে তারা অন্যদের প্রতি যে সমন্ত অন্যায়, অত্যাচার ও জুলুম নির্যাতন করেছেন, তারই প্রতিশোধ
হিসেবে বিক্ষুব্ধ জনতা এসব হামলা করেছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.