বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে ফেনীতে নৌবাহিনী’র ৩ কন্টিনজেন্ট

ফেনী প্রতিনিধি: হঠাৎ ফুঁসে উঠেছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদনদীর পানি। অতি বৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানি বেড়ে যাওয়ায় ১০ জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ফেনী, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, কুমিল্লা রয়েছে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে। বন্যা ছড়িয়ে পড়ছে আশেপাশের অঞ্চলেও।
হঠাৎ এ বন্যায় এসব এলাকার বাসিন্দারা পড়েছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বন্যাকবলিতদের উদ্ধারে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজে নেমে পড়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরাও।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে জানা যায়, ফেনীতে উদ্ধার কাজে তিনটি কন্টিনজেন্ট কাজ করছে। আগের একটির পাশাপাশি আজ থেকে যুক্ত হয়েছে আরও দুটি কন্টিনজেন্ট।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, নৌবাহিনীর আরও দুটি কন্টিনজেন্ট ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে ফেনীতে বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকার্যে অংশগ্রহণ করছে। ডুবুরি সামগ্রী, লাইফ-জ্যাকেট, স্পিড বোট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে উদ্ধারকার্যে। জরুরি চিকিৎসা সেবা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এর আগে নৌবাহিনী থেকে জানানো হয়, ফেনীতে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাননীয় নৌবাহিনী প্রধানের দিকনির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষায়িত কন্টিনজেন্ট। ভারী বর্ষণে পানিবন্দি অসহায় মানুষদের বোটের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে ইতোমধ্যে কাজ করে চলছে নৌবাহিনী।
পাশাপাশি, প্লাবিত এলাকা সমুহে জানমালের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়ন রয়েছে নৌবাহিনীর ডুবুরি দলও। এছাড়াও নৌবাহিনী চিকিৎসক দল পানিবন্দি এলাকাগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সহায়তায় বিশেষ মেডিকেল টিম, জীবন রক্ষাকারী ঔষধ, স্যালাইনসহ ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত নৌবাহিনীর এই সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকার করা জানিয়েছে বাহিনীটি।
ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন স্থান দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকে ডুবছে জনপদ। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় জেলার সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বন্যাদুর্গত মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ফেনী প্রতিনিধি মো: দেলোয়ার হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.