বন্দী রাখা যাবে না খালেদা জিয়াকে : কাদের সিদ্দিকী
ঢাকা প্রতিনিধি: আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে কৃষক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বন্দী রাখা যাবে না।
এ সময় কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ড. কামাল হোসেনের ঐক্যফ্রন্ট্রে যোগদান করেছি। আমি বলবো যদি আপনারা জিততে চান, জয় আপনাদের হাতে। আর যদি হারতে চান তাও আপনাদের হাতে। শেখ হাসিনা আপনাদের বিজয়ী করতে পারবে না। আপানদের পরাজিত করতে পারবে না। যদি বিজয়ী হতে চান নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপিকে ভুলে যান। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পতাকা তলে হিমাদ্রির মতো সোজা হয়ে দাঁড়ান।
তিনি আরও বলেন, ইলেকশন হাসিনাকে দিতে হবে, উপায় নেই। আমি খালেদার জিয়ার মুক্তি চাই না। চাইতে হবে কখন হাসিনা মুক্ত হবেন। বেগম খালেদা জিয়া জেলখানায় গিয়ে গণতন্ত্রের প্রতীক হয়েছেন। খালেদা জিয়া জেলখানায় বন্দি থেকে বাংলাদেশের মানুষের অন্তরের প্রতীক হয়েছেন। বাংলাদেশকে বন্দী রাখা যায় না। তাই বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী রাখা যাবে না। ওবায়দুল কাদের কোনো কথার দাম নেই।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আপনারা ফখরুল ইসলামকে একটু মান্য কইরেন। যদি জিততে চান। ড. কামাল হোসেন সাথে না থাকলে সোহরাওয়ার্দী ময়দানে মিটিং করতে পারতেন না। গাবতলীতে রাস্তায় গাড়ি বন্ধ। টঙ্গী বন্ধ। এরপরও আমর বোনকে (শেখ হাসিনা) বলা উচিত একটু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে দেখে যান। গত চার তারিখে তিনি এখানে এসেছিলেন। আল্লামা শফীর এক মিটিংয়ে। আল্লামা শফী ভুলে যেতে পারেন, আমি কাদের সিদ্দিকী ভুলি নাই। শাপলা চত্বরে ঈমানদারের রক্ত ঝড়েছে। এই রক্তের বদলা না নিলে আমরা বেঈমানে পরিণত হবো।
কাদের আরো বলেন, ‘জানেন,বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অভিযোগ বিএনপি রাজাকারের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা দিয়েছে, অভিযোগ সত্য নয়। আওয়ামী লীগ প্রথম সরিষা বাড়ির নরু মাওলানার গাড়িতে পতাকা তুলেছে। আওয়ামী লীগ রাজাকার মহিউদ্দিনের গাড়িতেও পতাকা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ আসিকুর রহমানের গাড়িতে পতাকা দিয়েছে।
এর আগে, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যোগ দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে তিনি সভামঞ্চে এসে উপস্থিত হন। এর আগে আজ দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির জাসাস কর্মীদের সম্মিলিত সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে সভামঞ্চে উপস্থিত হন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক জনতা লীগে সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আবদুর রব, সুলতান মো. মনসুর, মোস্তফা মহসীন মন্টু, আবদুল মালেক রতন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান।
গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর ঢাকায় এটাই হবে তাদের প্রথম জনসভা। ইতোমধ্যে এই জোটের নেতারা সিলেট ও চট্টগ্রামে সাত দফা নিয়ে জনসভা করেছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.