বন্দরে সরকারী মাসুলই সঠিক: বৃদ্ধি শ্রমিকদের লোড-আনলোড ফি, ৬ দিন পর সোনামসজিদ স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক

বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিকারকদের অনির্দিষ্টকালের আমদানী-রপ্তানী বন্ধ কর্মসূচীতে ৬ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাগত জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুস সামাদ জেলা এর প্রচেষ্টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেড ও সোনামসজিদ আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের বৈঠকে এই সমস্যার সমাধান হয়।
বন্দরের সরকারী মাসুল বা ট্যারিফ ঠিক রেখে এবং বন্দরের মাসুল দিয়ে শ্রমিকদের লোড-আনলোড বাবদ কিছু টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে পোর্টের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছে পানামা কর্তৃপক্ষ।
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তনিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের বিভিন্ন সমস্যাসহ চার দফা দাবি জানিয়ে আসছিলেন সোনামসজিদ আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ। ফলে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যায় বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেড ও সোনামসজিদ আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক আবদুস সামাদ।
এসময় বৈঠকে বন্দরের সমস্যা সমাধানের নিরসন হলে শুক্রবার এক জরুরী বৈঠকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর চালুর সিদ্ধান্ত নেয় আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ।
এব্যাপারে পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম বলেন, বন্দরের সরকারী মাসুল বা ট্যারিফ ঠিক রেখে এবং বন্দরের মাসুল আদায় পূর্বক লোড-আনলোড বাবদ শ্রমিকদের কিছু টাকা বৃদ্ধি (লোড-৪ টাকা ৫০ পয়সা এবং আনলোড-৪ টাকা ৫০ পয়সা) মোট ৯ টাকা বৃদ্ধি সিদ্ধান্তে পোর্টের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।
এছাড়া বন্দরের অন্যান্য ফি বা মাসুল ঠিক রাখা হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কোন অযৌক্তিক টাকা বা ফি আদায় করিনা। বাংলাদেশ সরকারের দেয়া অন্যান্য বন্দরের মতোই আমরা পাথরের নায্য ফি আদায় করে থাকি।
তিনি আরও বলেন, এই বন্দরে অন্যান্য বন্দরের চাইতে ফি কম নেয়া হয়। আমরা সরকারের দেয়া নিয়মের বাইরে যেতে পারবো না। এখানকার আমদানী-রপ্তানীকারকরা অনেক পূর্বের দেয়া ফি দিয়েই ব্যবসা করতে চাই। সে কারনেই তাদের এই সিদ্ধান্ত। সরকারের দেয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা বন্দরের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.