ফুটপাত দখলমুক্ত ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নিজেই মাঠে রাসিক মেয়র

:লীগ প্রতিবেদক: ফুটপাত দলখমুক্ত রাখতে ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নিজেই মাঠে অভিযানে নেমেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দোকানদার ও ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের সর্তক ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন করেন এবং তাদের মধ্যে ডাস্টবিন বিতরণ করেন মেয়র।

জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নগরভবনের সামনে থেকে অভিযান শুরু করেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর নগরীর রেলগেট থেকে শহীদ কামারুজ্জামান চত্বর হয়ে অলকার মোড়, রাণীবাজার, সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট ঘুরে বাটার মোড় হয়ে নিউমাকের্টের সামনে হয়ে গোরহাঙ্গা এলাকা হয়ে নগরভবনের সামনে দিয়ে দড়িখবরনা মোড় হয়ে কাদিরগঞ্জ গ্রেটার রোড পর্যন্ত এলাকা ঘোরেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

 

এ সময় যাদের দোকানের সামনে ময়লা-আবর্জনা পাওয়া যায়, সেসব দোকানের ব্যবসায়ীদের সর্তক করেন এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন করেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। আর যারা ফুটপাত পুরোটা দখল করে দোকান বসিয়েছেন তাদের নাগরকিদের হাটার জন্যে ফুটপাত ছেড়ে দিয়ে দোকান বসাতে নির্দেশ দেন তিনি।

এছাড়া যত্রতত্র অটোরকিশাসহ অন্যান্য যানবাহন পার্কিং না করার জন্য চালকদের এবং বাড়ি মালিকদের নির্মানসামগ্রী রাস্তার উপরে না রাখার নির্দেশ দেন। কিছুকিছু স্থানে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রায় শতাধিক ডাস্টবিন বিতরণ করেন।

এ সময় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, নিজের দোকান যেমন ঝকঝকে রাখেন, তেমননি শহরকেও ঝকঝকে রাখতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না। বিনামূল্যে ডাস্টবিন দেয়া হচ্ছে, ডাস্টবিনে ময়লা-আবর্জন সংরক্ষণ করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীরা এসে সেসব ময়লা-আবর্জনা নিয়ে যাবে।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ফুটপাতে ব্যবসা করে অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। আমরা তাদের ক্ষতি করতে চাই না। কিন্তু পুরো ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা যাবে না। নাগরিকদের চলাচলের জায়গা রেখেই ব্যবসা করতে হবে।

মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন সুন্দর নগরী গড়ে তুলি। এ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ ও ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার, ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানসহ সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.