পিরোজপুর প্রতিনিধি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। শুধু প্রাণিসম্পদ খাত নয়, দেশের সার্বিক উন্নয়নেও তাঁর বিকল্প নেই।
আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর রোগ মুক্তকরণের লক্ষ্যে দেশব্যাপী টিকা দান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ‘পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ’ প্রকল্পের আওতায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া দেশে দুর্ভিক্ষ হয়ে যেতে পারে। শেখ হাসিনা না থাকলে আবারও জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও স্বাধীনতাবিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। শেখ হাসিনা না থাকলে উন্নয়নের চাকা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। উন্নয়ন চাইলে, অগ্রগতি চাইলে, দুর্নীতিমুক্ত দেশ চাইলে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাইলে শেখ হাসিনাকে বারবার দরকার। উন্নয়ন-শান্তি চাইলে দরকার শেখ হাসিনা আর দুর্নীতি-অশান্তি চাইলে বিএনপি-জামায়াত।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার সারাদেশে প্রাণিসম্পদ খাতকে বিকশিত করতে চাই। শেখ হাসিনা না থাকলে এ খাতের বিকাশ হতো না। তৃণমূল জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে আয়ের উৎস হিসেবে গরু, ছাগল, ভেড়া বিনা মূল্যে দেওয়া সম্ভব হতো না ‘
প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে শ ম রেজাউল করিম বলেন, দেশে ডিম ও মাংসের উৎপাদন বেড়েছে। বর্তমান সরকারে সময়ে গত ১২ বছরে দুধের উৎপাদন প্রায় ৪ গুণের অধিক, মাংসের উৎপাদন প্রায় ৬ গুণ এবং ডিমের উৎপাদন প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মাথাপিছু প্রাণিজ আমিষ গ্রহণের হারও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন কোরবানির সময় প্রতিবেশী দেশ থেকে গবাদিপশু আনার প্রয়োজন হয় না। দেশে উৎপাদিত প্রাণী দিয়ে কোরবানির চাহিদা মেটানোর পরও উদ্বৃত্ত থাকে। পৃথিবীর অনেক দেশ এখন আমাদের থেকে মাংস নিতে চায়। তারা রোগমুক্ত ও নিরাপদ মাংস চায়। তাই গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি যাতে রোগাক্রান্ত না থাকে সেজন্য সরকার বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে সরকার।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সেলিম হোসেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.