সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের ছাতকের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পাঁচ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত থেকে সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কমতে শুরু করেছে জেলার যাদুকাটা, কুশিয়ারা ও রক্তি নদীর পানি। তবে দ্রুতগতিতে বাড়ছে ছাতকের সুরমা নদীর পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে ছাতক উপজেলার সীমান্ত এলাকার নিম্নাঞ্চলের মুক্তিয়ার খলা, হরিপুরসহ ৫-৬ গ্রামের প্রধান সড়ক ডুবে গেছে। ফলে ছাতক উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ।
পাহাড়ি ঢলে ছাতকের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ভোগান্তিতে ৫ গ্রামের মানুষ
তবে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে বন্যা মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ মজুত রয়েছে।
জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, ২০২২ সালের বন্যায় সুনামগঞ্জে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে যেহেতু সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বাড়ছে সেজন্য আমরা বন্যা মোকাবিলার জন্য আগাম সবধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
পাহাড়ি ঢলে ছাতকের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ভোগান্তিতে ৫ গ্রামের মানুষ
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সুনামগঞ্জের কুশিয়ারা, যাদুকাটা, রক্তি নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.