নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি মওসুমে পাটগাছ জাগ দিতে গিয়ে পানি সংকটে পরলেও পাটের দাম ভালো পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। রাজশাহীর সর্ববৃহৎ পাটের হাট নওহাটা বাজারে সোমবার গিয়ে দেখা যায় প্রতিমণ পাট বিক্রি হয়েছে ২৬’শ থেকে ৩২’শ টাকা দরে। মণপ্রতি পাট বিক্রি করে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করছেন বলে জানিয়েছেন চাষীরা। ভালো দাম থাকলে সোনালি আঁশ পাটের সুদিন আবারও ফিরে আসবে বলেই ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজশাহী পাট অধিদফতর জানিয়েছে, রাজশাহী জেলায় চলতি মৌসুমে ১৯ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ১৪ হাজার হেক্টও জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে এবার।
পবা উপজেলার পাটচাষি শরিফুল ইসলাম জানান, অনাবৃষ্টির কারণে ফলন কম হলেও এই মৌসুমে তিন বিঘা জমি থেকে ২৭ মণ পাট পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার নওহাটা হাটে প্রতি মণ পাট ২৯’শ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। ২৭ মণ পাটে সব খরচ বাদে তিনি ৪০ হাজার টাকা লাভ করেছেন।
নওহাটা এলাকার এক পাট ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম সুমন জানান, বাজারে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে। দামও বেশ ভালো। গতবারের চেয়ে মণে প্রায় হাজার টাকার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে পাট। গত হাটে ২০ মণ পাট কিনেছি। পাটের প্রকারভেদে ২৬’শ থেকে ৩২’শ টাকা মণ দরে কিনেছি। কৃষকরা বাড়তি এ দাম পেয়ে খুশি।
রাজশাহী পাট অধিদফতরের মুখ্য পরিদর্শক মো. নাদিম আক্তার নওহাটা পাটের বাজার পরিদর্শন শেষে জানান, বাংলাদেশের সোনালি আঁশ পাটের ‘সোনালি দিন’ ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত বাজারে পাটের দাম ভালো রয়েছে।
মৌসুমের শুরুতে নওহাটা বাজারে প্রতি মণ পাট ২৮ ‘শ থেকে ৩২’শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে নওহাটা হাটে পাটের গুণগতমান অনুযায়ী প্রতি মণ পাট ২৬’শ থেকে ৩২’শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে।
পানির অভাবে পাট জাগ দিতে কৃষককের সমস্যা হলেও মধ্য শ্রাবণের বৃষ্টিতে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.