“নারী উন্নয়নের জন্য একমাত্র উপাদানই নারী শিক্ষা”

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: নারীদের ক্ষেত্রটা আমাদের সামাজিক পরিবেশ নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। যার ফলশ্রুতি হিসেবে শিক্ষার একটি গুরুত্ব রয়েছে বলে দাবী করছেন অনেকেই। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের মতে সামাজিক ভাবে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিতের হার বাড়লেও ঝরে পড়ার সংখ্যাও যথেষ্ট্য। মূলকারণ হিসেবে বাল্য বিবাহ এর বাইরে নয়। দেশের আইন, নীতিমালার প্রাচীর অপেক্ষা করে এখনো কু-রীতি নীতিকে প্রাধান্য দেন অশিক্ষিত অভিভাবকরা। যার ফলে বাল্য বিবাহ উদ্বেগজনক অবস্থায় নারীদের একটি অংশ এখনো রয়েই গেছে। বিশেষ করে মফস্বল গুলোতে এমন ঘটনা এখনো চোখে পড়ার মত।

এদিকে সরকার মেয়েদের ঝরে পড়া থেকে নারীদের নানান পদক্ষেপ অব্যহত রেখেছেন। জরিপের তথ্যমতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীর ছাত্রীর হার শতকরা প্রায় সমানসমান। প্রাথমিকে প্রায় ৫০ শতাংশ ও মাধ্যমিকেও ৫৪ শতাংশ মেয়ে। কলেজ পর্যায়ে প্রায় ৪৭ শতাংশ মাদ্রাসা পর্যায়ে ৫৫ শতাংশ প্রায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩৩ শতাংশ ছাত্রী পড়ালেখা শিখছে। তবে দেশব্যাপী টেকনিক্যাল স্কুল কলেজ ও ভকেশনালে ছাত্রীদের অংশগ্রহনে নগন্য। হয়ত এধারারও এক সময় পরিবর্তন হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর ( ব্যানবেইস) বার্ষিক জরিপ ২০১৮ এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। তথ্যমতে, ১৯ শতাংশ ছাত্রী মাধ্যমিকেই ঝরে পড়ছে। শিক্ষার স্তর বাড়ার সাথে সাথে কমে আসছে মেয়েদের অংশগ্রহণ। মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণী ভার্তি হওয়ার পর প্রায় ৪০ শতাংশ মেয়েই উচ্চ মাধ্যমিকে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। যদিও বাংলাদেশ নারী শিক্ষায় যথেষ্ট্য তৎপর রয়েছে। মফস্বলে নারীদের নিয়ে সেমিনার, সমাবেশ ও শিক্ষার সামাজিক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে সরকারকে আরো গুরুত্ব দিতে হবে। নারীকে জাগিয়ে তুলতে বিভিন্ন নতুন নতুন যযোপযোগী তুলতে বিভিন্ নতুন নতুন যগোপযোগী পদক্ষেপ অপরিহার্য।

তবেই হয়ত নেপোলিয়ান বোনাপোর্ট এর উক্তিটির মর্যাদা রক্ষা হবে। আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি শিক্ষিত জাতি দিব”। আমাদের সকলের প্রায় জানা-একজন পুরুষকে শিক্ষা দেওয়া মানে একজন ব্যক্তিকে শিক্ষিত করা। আর একজন নারীকে শিক্ষিত করে দেওয়া মানে গোটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলা। নারী জন সমষ্টি প্রায় অর্ধেক। আর নারীদের শিক্ষার বাইরে রেখে সমাজকে এগিয়ে নেওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই নারীকে সু-শিক্ষিত না করে এবং সঠিক কর্মস্থান প্রদান না করতে পারলে জাতীয় উন্নয়ন অগ্রগতি ও কল্যান অসম্ভব। তাই নারীকে স্বাবলম্বী করতে আরোও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, নারীর স্বাস্থ্য সচেতনতা, সামাজিক অধিকার ও করনীয় সম্পর্কে সমাজের যুযোপযোগী পদক্ষেপ।

মফস্বলে প্রায় একটি বিষয় চোখে পড়ার মতো “নারী শিক্ষাকে তেমন গুরুত্ব নে দেওয়া, অভিভাবকের এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া। বাল্য বিবাহ এ ধারার পরিবর্তন নিয়ে আসা। ধর্মীয় গোঁড়ামী যেমন ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নারীকে বিদ্যা অর্জন থেকে বিরত রাখা। মেয়েদের প্রতি নীচু মানষিকতা দূরীকরন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো নারী শিক্ষা প্রসারে নারীকে পুরুষের থেকে উত্তম মনে করে মেয়েদের অবহেলা করার মানষিকতার পরিবর্তন তৈরী করতে পারলেই সামাজিক ভাবে নারীদেরও পুরুষদের মত এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম শিল্পী।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.