দিঘলিয়ায় সেনা ও নৌবাহিনীর অব্যাহত পদচারণায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে গণমানুষের মাঝে

বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি: দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে এ এলাকার মাঝে নৌ ও সেনা সদস্যদের নানা মুখি পদচারণার কারণে।

উল্লেখিত উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রিত হয় দিঘলিয়া থানা পুলিশের দ্বারা। বাকী ২টা ইউনিয়ন কেএমপির আওতায়।
দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর থেকে দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একটা মহলের দ্বারা দোকান পাট, বাড়িঘর, স্কুল-কলেজ, হাট-বাজারসহ সরকারি স্থাপনায় হামলা, লুটপাট, ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগের অব্যাহত ঘটনা ঘটে। অনেকের যুগেরও অধিক সময়ের ব্যবসা স্থাপনা বেদখল হয়ে যায়। সরকারি রাস্তা ও প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ টাকার নানা ধরণের গাছ কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নের মাঝিরগাতী গ্রামের হরিদাসের ঘের থেকে মাছ ধরে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বাকী ঘেরের মাছও ধরে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এরূপ অনেকেরই ঘেরের মাছ লুট হয়েছে বলে জানা যায়।
গাজীরহাট ইউনিয়নের গাজীরহাট হাটের মধ্যে চিহ্নিত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গোলাগুলি করে ত্রাস সৃষ্টি করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা এ প্রতিবেদককে জানান। বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীর চৌকস টিমের অব্যাহত প্রচেষ্টা ও অভিযানে এ জনপদের সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।
এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পুরাদমে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ব্যাংকে লেনদেনও যথারীতি শুরু হয়েছে। সেনা ও নৌবাহিনীর প্রচেষ্টায় দিঘলিয়া থানা পুলিশ তাদের দায়িত্বে ও রুটিন কাজে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। বুধবার থেকে ফাঁড়ি পুলিশ তাদের স্ব স্ব ফাঁড়িতে ফিরে যাবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক আপদকালীন সময়ে দিঘলিয়া উপজেলার সকল ফাঁড়ি পুলিশকে দিঘলিয়া থানায় ক্লোজ করে নিয়ে আসা হয়েছিল। ফাঁড়ির পাহারায় ছিল স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল কাসেম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.