বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বিতীয় টমাস শোলের কাছে গতকাল সোমবার আবারও চীন ও ফিলিপাইন্সের জাহাজের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে চীনের কোস্টগার্ড জানিয়েছে। গত কয়েকমাসে এমন ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটল।
চীনা ভাষায় দ্বিতীয় টমাস শোলের নাম রেনাই রিফ। ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে চীন। দ্বিতীয় টমাস শোল এলাকাটি ফিলিপাইন্সের পালাওয়ান দ্বীপ থেকে ২০০ কিলোমিটার পশ্চিম অবস্থিত। আর সেখান থেকে চীনের হাইনান দ্বীপের দূরত্ব এক হাজার কিলোমিটারের বেশি।
দ্বিতীয় টমাস শোল এলাকায় নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ফিলিপাইন্স নৌবাহিনী ‘সিয়েরা মাদ্রে’ নামের একটি জাহাজ সেখানে ডুবিয়ে দিয়ে সেটিকে গ্যারিসন হিসেবে ব্যবহার করছে। সেখানে থাকা সৈন্যদের জন্য খাবার নিয়ে যাওয়া ফিলিপাইন্সের জাহাজের সঙ্গে প্রায়ই চীনা জাহাজের সংঘর্ষ ঘটছে।
সোমবারের ঘটনা সম্পর্কে চীনের কোস্ট গার্ড বলেছে, ফিলিপাইন্সের জাহাজটি চীনের দিক থেকে পাঠানো কয়েকটি সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছে। এটি ‘অপেশাদার উপায়ে… চীনা জাহাজের কাছে এসেছিল, যার ফলে সংঘর্ষ হয়েছে’ বলে দাবি বেইজিংয়ের।
এদিকে ফিলিপাইন্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, চীনের পদক্ষেপগুলো ‘দক্ষিণ চীন সাগরে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সত্যিকারের বাধা’।
চলতি মাসে চীনের একটি নৌকা ফিলিপাইন্সের এক চৌকিতে বিমান থেকে ফেলা খাবার ও ওষুধ জব্দ করে বলে অভিযোগ করেছিল ম্যানিলা। এরপর সেই খাবার ও ওষুধ পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। এটি এ ধরনের প্রথম ঘটনা।
শনিবার থেকে চীনা কোস্ট গার্ডের একটি নতুন আইন চালু হয়েছে। এর ফলে কোস্ট গার্ড বিতর্কিত এলাকায় অনুপ্রবেশের দায়ে বিদেশিদের গ্রেপ্তার করতে পারবে। এই আইনের তীব্র সমালোচনা করেছে ফিলিপাইন্স। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.