বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তাইওয়ান উপকূলে হঠাৎ হাজির হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার দু’টি যুদ্ধজাহাজ। এ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে চীন। বলেছে, বিদেশি যু্দ্ধজাহাজ দু’টির ওপর সতর্ক নজরদারি চালাচ্ছে পিললস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, কানাডার ফ্রিগেট ভিল ডি কুইবেক এবং অস্ট্রেলিয়ার গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ব্রিসবেন শনিবার সকালে ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ তাইওয়ান প্রণালীর একাংশ অতিক্রম করেছে। এই প্রণালী চীনা ভূখণ্ড থেকে দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে পৃথক করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধজাহাজ দু’টি তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশের সময় চীনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ট্রানজিটজুড়ে পূর্ণ নজরদারি এবং পর্যবেক্ষণ বজায় রেখেছিল, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল।’
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি নেতৃত্ব বরাবরই তাইওয়ানকে তাদের দেশের ‘অবিচ্ছেদ্য’ অংশ বলে দাবি করে আসছেন। বিশ্বের বহু দেশই এই দাবি মেনে নিলেও পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে এবং বেইজিংয়ের আপত্তি উপেক্ষা করে তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা প্রদান করছে।
২০২২ সালের আগস্টে চীনের আপত্তি খারিজ করে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। সে সময় থেকেই ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ান ঘিরে নিয়মিত সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন।
চীন-তাইওয়ান সংকটের আবহে সে সময় মার্কিন সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে। পরে তারা সরে গেলেও গত তিন বছর ধরে চীনা যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ ধারাবাহিক ভাবে আকাশ এবং জলসীমা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ তাইওয়ানের।
এরপর উত্তেজনা প্রশমনের উদ্দেশ্যে দু’পক্ষ কিছুটা নমনীয় হলেও গত বছর তাইওয়ানের সাধারণ নির্বাচনে কট্টর চীনবিরোধী ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)-র জয়ের পর নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.