জয়পুরহাটে প্রেসক্লাব ভাংচুরসহ বিটিসি নিউজ এর সাংবাদিক নিরেন দাসকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ১৯৮৪-ইং সালে জেলার সর্বপ্রথম স্থাপিত প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী আক্কেলপুর উপজেলা প্রেসক্লাব ভাংচুর ও প্রেসক্লাবের টানা তিনবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বিটিসি নিউজ এর জয়পুরহাট প্রতিনিধি নিরেন দাসকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে কোটা আন্দোলনের নামে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।
রোববার (০৫ আগস্ট) বিকেলে জাতির উদ্দেশ্যে সেনাপ্রধানের বক্তব্যে শেখ হাসিনার পদত্যাগের কথা শুনে বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল বের করলে এসময় শিক্ষার্থীদের মিছিলে প্রবেশ করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ভাংচুর ও লুটপাট শুরু করে।
সাংবাদিকরা উক্ত মিছিল ও লুটপাটের ছবি তোলতে গেলে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রথমে সাংবাদিকদের লাঠিপেটা করা শুরু করলে সকল সাংবাদিকরা পালিয়ে যায় এসময় সাংবাদিক নিরেন দাস প্রাণভয়ে তার প্রেসক্লাবে দৌঁড়ে গিয়ে অবস্থান নিলে নাশকতাকারীরা কিছুক্ষণ পর প্রেসক্লাবে এসে প্রেসক্লাব ঘেঁরাও করে ভাংচুর শুরু করলে প্রেসক্লাবে বসে থাকা ১২-১৩ জন সাধারণ জনগণ বাঁধা দিলে তাদের কেও মারধর শুরু করে এসময় সাংবাদিক নিরেন দাস সংখ্যালঘু হওয়াই তাকে গালিগালাজ করে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা বেধড়ক মারধর শুরু করলে যুবদল নেতা রতন খাঁন দেশীয় অস্ত্র দ্বারা মাথায় আঘাত করলে সাংবাদিক নিরেন দাস মাটিতে পরে গেলে সেখানেও তাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে তারা এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক নিরেন দাসকে রক্ষা করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাণে বেঁচে জান বর্তমানে তিনি গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এসময় প্রেসক্লাবের দুটি কম্পিউটার,একটি ল্যাপটপ, দুটি ক্যামেরাসহ সকল কিছু ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা।
এমনকি প্রেসক্লাব ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করার কিছুক্ষণ পর সাংবাদিক নিরেন দাসের পার্সোনাল চেম্বারেও তারা হামলা চালিয়ে দুটি কম্পিউটার লুটপাট করে এবং চেয়ার টেবিলে অগ্নিসংযোগ করে তারা।
বিষয়টি নিয়ে বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাসহ সুশীল সমাজের সাধারণ জনগণ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.