চাঁপাপুরে সরকারি জলাশয় লিজ নিয়ে উত্তেজনার নিরশন

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: আদমদীঘির চাঁপাপুর বেড়ার বিল নামক সরকারি জলাশয় মসজিদের নামে লিজ না দিয়ে শ্রমিকদলের সভাপতি অন্যের নিকট বেশি দামে সাব লিজ দেয়ায় এলাকায় উত্তেজনা অবশেষে স্থানীয় মুসল্লি ও শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা লায়ন ফরিদ আহমেদের হস্তক্ষেপে সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা পেল।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে চাঁপাপুর হাট সেডে এক সমঝোতা সভায় নিজ তহবিল থেকে লিজের এক লাখ টাকা পরিশোধ করে দুই মসজিদ কমিটিকে ওই জলাশয়ে মাছচাষ করে তার আয় থেকে মসজিদ পরিচালনা সিদ্ধান্ত দেয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও উত্তেজনার নিরশন হয়।
চাঁপাপুর মসজিদের সহসভাপতি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বয়েজ আহমেদের সভাপতিত্বে এই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর উত্তর সিটির কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ফরিদ আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন, আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিকদলের সাারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসান, সিনিয়র সহ সভাপতি খোকন প্রামানিক, তোফাজ্জল হোসেন, চাঁপাপুর ইউনিয়ন শ্রমিকদল নেতা মোজাম্মেল হক, আরিফুল ইসলাম, আমিন সরদার, যুবদল নেতা এনামুল হক বাদশা প্রামানিক, কুন্দগ্রাম শ্রমিকদল নেতা আব্দুস ছামাদ, রণি হোসেন, সান্তাহার শ্রমিকদল নেতা রুহুল আমিন, হানিফ প্রমুখ।
চাঁপাপুর মসজিদ কমিটি ও শ্রমিকদলের অভিযোগে জানাযায়, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের বেড়ার বিল নামক ২.৭০ একরের সরকারি একটি জলাশয় চাঁপাপুর বাজারের দুই মসজিদ উন্নয়নের জন্য প্রায় শতাধিক বছর যাবত লিজ গ্রহন করে তাতে মাচচাষ করে মসজিদ দুটির উন্নয়ন করে আসছিল। গত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর জলাশয়টি বড়িয়াবার্তা বেকার যুব সমিতির রকি নামে সরকারি ভাবে ২২ হাজার টায় লিজ গ্রহন করে।
চাঁপাপুরের জনৈক জুয়েল ড্রাইভার বলেন, সে আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মিজানুর রহমানকে দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করে জলাশয়টি সাব লিজ গ্রহন করি। বিষয়টি প্রকাশ পেলে চাঁপাপুরের দুই মসজিদের মুসল্লিসহ শ্রমিকদলের নেতাকর্মিদের মাঝে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিকদল সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, জলাশয়টি বৈধ ভাবে সরকারি ভাবে ডিসিআর গ্রহনের মাধ্যমে লিজ গ্রহন করা হয়েছে।
এদিকে আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিকদল নেতৃবর্গ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমিকদল নেতা লায়ন ফরিদ আহমেদের শরনাপন্ন হলে তিনি বিষয়টি নিরশনকল্পে বৃহস্পতিবার রাতে সমঝোতা সভায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও নিজেই লিজের টাকা পরিশোধ করে দুই মসজিদকে জলাশয়ে মাছচাষের আয় করার ব্যবস্থা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়ায় উত্তেজনা নিরশন করেন। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.