চট্টগ্রামের জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল দুর্নীতিমুক্ত ও ঘুরে দাঁড়ানোর দাবি করলেন নতুন কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ারুল ইসলাম

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দুর্নীতি ও অনিয়মের দায়ে ডুবতে থাকা জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।
গতকাল ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে জেমিসন হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
পেয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, দুর্নীতিতে ডুবন্ত ও লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হওয়া জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালকে দুর্নীতিমুক্ত করে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করে আয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এক সময় বছরে সাত কোটি টাকা আয় হলেও বিগত এক বছরে সেই আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৬০ শতাংশ।
বর্তমানে হাসপাতালটি শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত হওয়ায় আগামী বছর ১৫ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব বলে আশ্বাস করেন তিনি। এসব অসম্ভব কাজগুলো সম্ভব হয়েছে হাসপাতালের লুটপাট বন্ধ করে প্রতিটি বিভাগে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনায়।
সনদ জালিয়াতি করে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ও অন্যান্য অনিয়মে যুক্ত ৮ জন কর্মচারীকে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চাকুরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে আগে প্রতি মাসে ৫৫ লাখ টাকা আয় হলেও বর্তমানে নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই আয় বেড়ে মাসে এখন ১ কোটি ৮ লাখ টাকা আয়।
এক বছর আগে দায়িত্ব নেওয়ার সময় হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৮ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া ছিল। আগের কমিটির সেই ৮ মাসের বকেয়া থেকে ইতোমধ্যে নিয়মিত বেতন ভাতা প্রদানের পাশাপাশি বকেয়া ৬ মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এখন প্রভিডেন্ট ফান্ড সঠিকভাবে জমা হচ্ছে। যারা অবসরে যাচ্ছেন তাদের পাওনা যথাযথাভাবে পরিশোধ করা হচ্ছে। তাছাড়া গাড়ি ব্যবহারের নামে অপচয় রোধ করে শুধু বিগত ২০২৩ সালে প্রায় ১৫ লাখের বেশি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে।
এ সময় চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। বিগত ১৩ বছরের হাসপাতালে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে উল্লেখ করে পেয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, গত ১৩ বছর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা প্রতি বছর ৩০ লাখ টাকায় বেড শিট, দরজা-জানলার পর্দা, ফোম-মেট্রেস ক্রয় করেছে। অথচ গত এক বছরে এসব জিনিসপত্র কেনা হয়েছে মাত্র তিন লাখ টাকায়। বিগত পরিষদ লাখ লাখ টাকার জিনিসপত্র কিনলেও কখনও যাচাই বাছাই করেনি। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বেড শিট, পর্দা কেনার ভাউচারগুলো যাচাই করি। ভাউচারে থাকা দোকানের অস্তিত্ব আমরা খুঁজে পাইনি। হিসেব করে দেখেছি বিগত বছরগুলোতে একটি বেড শিট-পর্দার দাম ১৯ হাজার টাকার মতো পড়েছে।
এত অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করা হয়েছে তারা ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান স. . জিয়াউর রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.