গাজায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা বৃহস্পতিবার ইসরায়েল এবং হামাসকে একটি যুদ্ধবিরতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত গাজায় ৪০,০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের বেশীর ভাগই নারী ও শিশু।
তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার পর থেকে যে উত্তেজনা বেড়েছে তা কমাতে ব্যাপক আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্যে কাতারের রাজধানীতে এই আলোচনা শুরু হয়েছে।
দোহা আলোচনায় একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল যোগ দিয়েছে,মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক উইলিয়াম বার্নস বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এতে সরাসরি অংশ নেয়নি। হামাসের কর্মকর্তা ওসামা হামদান বলেছেন, ইসরাইল নতুন প্রতিশ্রুতি দিলে দলটি পরোক্ষ আলোচনায় যোগ দেবে।
ইউএস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেছেন,‘আজ একটি প্রতিশ্রুতিশীল  অলোচনা শুরু হয়েছে’। তিনি স্বীকার করেছেন,‘অনেক কাজ বাকি আছে।’
হামাস মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ৩১ মে গৃহীত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা এবং বন্দি-জিম্মি বিনিময় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে।
প্রথম দিনের আলোচনার পর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামাসের কর্মকর্তা হোসাম বদরান বলেছেন,একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির ফলে বিধ্বস্ত এলাকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে।
বদরান বলেন,‘যে কোনো চুক্তিতে অবশ্যই একটি ব্যাপক যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবর্তন অর্জন করতে হবে।’
ওসামা হামদান এএফপিকে বলেছেন, ইসরায়েলের থেকে ‘এখন পর্যন্ত নতুন কিছু নেই’।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ভূখন্ডে অস্ত্র চলাচল ঠেকাতে ইসরায়েলি বাহিনীকে অবশ্যই মিশরের সাথে গাজার সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণ যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে,নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি হয়েছে,যখন হামলায় আটক ১০৫ জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পেয়েছে।
জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসের এক মুখপাত্র বলেছেন, এখন পর্যন্ত গাজায় ৪০,০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
মুখপাত্র বলেছেন,‘প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা এখনো অজ্ঞাত রয়ে গেছে,যারা ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে মারা গেছে,তাদের সংখ্যা উদ্বেগজনক, সেই হিসাবে বর্তমান সংখ্যা অনেক কম।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন যুদ্ধবিরতি জরুরি,সেইসাথে সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি এবং নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.