খুলনা ব্যুরো: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধসহ সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাদ জুম্মা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আহতদের আশু সুস্থতা কামনায়ও দোয়া করা হয়েছে।
দোয়াপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, মৃত্যুর আগে আন্দোলনের মধ্যে ‘পানি লাগবে পানি’- মুগ্ধ’র এই কথাগুলো হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না। মুগ্ধ’র স্মৃতি সকলের মাঝে অম্লান হয়ে থাকবে। নতুন প্রজন্মের আত্মত্যাগে অর্জিত এই স্বাধীনতায় মুগ্ধ’র অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মুগ্ধ’র জমজ ভাই স্নিগ্ধকে দেখে মনে হয় মুগ্ধ আমাদের মাঝে আজও বেঁচে আছে। আমরা তার জন্য এখনও কিছু করতে পারিনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান গেটের নাম শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ করেছে, এটি মুছে ফেলার সুযোগ নেই। তিনি তাঁর বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শহিদ মুগ্ধ’র পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার জন্য মুগ্ধ শহিদ হয়েছে। তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশের মানুষের কাছে সে অমর হয়ে থাকবে। তিনি মুগ্ধ’র জীবদ্দশায় ভুল-ত্রুটি থাকলে সকলকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
দোয়াপূর্ব আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান।
দোয়া পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি আব্দুল কুদ্দুস। দোয়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শহিদ মুগ্ধ’র বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত, জমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বিকাল ৩টায় মীর মুগ্ধ এর স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.