কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামীতে সরকার পতনের কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে : মিনু

 

বিএনপি প্রতিবেদক২১শে আগষ্ট বোমা হামলা মামলায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামী দিনের রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সরকারের ফরমায়েশি রায়ের প্রতিবাদে এবং বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে রাজশাহী জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। আজ রোববার বিকেল ৪টায় যুবদল নেতৃবৃন্দ নগরীর বিভিন্ন স্থান হতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনের প্রধান সড়কে এসে শেষ করে। সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহামন মিনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন ও তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান।

অন্যদের মধ্যে মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার রহমান ভুট্টো, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনিসহ মহানগর, থানা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবদলের সহ¯্রাধীক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিনু বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় রেখে এদেশে কোন নির্বাচন হবেনা এবং হতে দেওয়া হবেনা। এই সরকারকে বিদায় করে নিদর্লীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন করা হবে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের প্রকৃত নেতারা বর্তমান হাইব্রিড আওয়ামী লীগের কর্মকা-ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। তারাও এই সকল নেতাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। আগামীতে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে এবং কেন্দ্রের নির্দেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারী দেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচিত হলে অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। সেইসাথে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই সরকারকে বিদায় করে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা হবে বলে জানান এই বর্ষিয়ান নেতা।

মিলন বলেন, বিএনপি’র বর্তমান জনপ্রিয়তা দেখে এই সরকার ভীত হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা শুরু করেছে। এপর্যন্ত সাড়ে ৪হাজার মামলা করেছে এবং হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, এখন আর শান্তি প্রক্রিয়ায় নয়। এখন শুধু প্রতিশোধের পালা। আগামীতে আওয়ামী লীগ যে সকল রাস্তায় মিছিল মিটিং ও সমাবেশ করবে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সেখানে দিয়ে মিছিল মিটিং করবে। বিএনপি এখনই ইচ্ছা করলে এই কাজ করতে পারে বলে জানান মিলন। তিনি তারেক রহমানসহ গ্রেনেড মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সকল নেতাদের নি:শর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।
সভাপতি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং আগামীতে সব ধরনের আন্দোলন সংগ্রামে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার আহবান জানিয়ে সমাবেশ শেষ করেন।

বাংলার রাখাল রাজা, গণতন্ত্রের পুরোধা, উন্নয়নের রুপকার বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষনা দেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তাঁর ঘোষনার প্রেক্ষিতে বাংলার যুবসমাজ ও আপামর জনসাধারণ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। কিন্তু ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যুবলীগের অত্যাচারে বাংলার মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছিল। বাংলার মানুষকে এই হায়নারুপি যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কবল থেকে রক্ষা করতে সেই সময়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যুবদল গঠন করেছিলেন। সেইথেকে যুবদল আজ অবধি সুনামের সাথে দেশের সেবা করে যাচ্ছে। আগামীর রাষ্ট্রনায়ক, তারুন্যের অহংকার বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হচ্ছে যুবদলের অনুপ্রেরনা। কিন্তু বর্তমান সরকার এই ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক ভয় পেয়ে সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায় প্রদান করেছে। কিন্তু এই সকল মামলায় সাজা দিয়ে তারেক রহমানসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনকে দমিয়ে রাখা যাবেনা। বাংলার এই তরুনরা সকল বাধা অতিক্রম করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে এবং তারেক রহমানের সাজার বিরুদ্ধে বেগমান আন্দোলন গড়ে তুলবে। সেদিন হাসিনা ও তার দোসররা পালিয়ে যাওয়ার স্থান খুঁজে পাবে না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি ও যুক্তফ্রন্ট এখন আর খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন করবেনা। এই অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের জন্য আন্দোলন করবে। তার পতন ঘটিয়ে দেশে নির্দলীয় তত্ববধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে সংসদ নির্বাচন করবে। এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি ও যুক্তফ্রন্ট সংসদ গঠন করে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে বলে তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। আর এই দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন বগেম খালেদা জিয়া। এই আন্দোলনে সকলকে রাজপথে থাকার আহবান জানান তিনি। সেইসাথে তারেক রহমানসহ সকল বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেনেড হামলা মামালায় সাজার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে সকল মামলা ও সাজা প্রত্যাহারের দাবী জানান এই নেতা।

সাবেক মেয়র বুলবুল বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে তলাবিহিন ঝুড়িতে পরিণত করেছিলেন। এখন তার কন্যা অবৈধ প্রধানমন্ত্রী একই কাজ করেছেন। ভারতের বিজেপি নেতারা বাংলাদেশকে দখল করার ঘোষনা দিলেও বর্তমান সরকার তার প্রতিবাদ করেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, যুক্তফ্রন্ট থেকে ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে। এই ফ্রন্টের কর্মসূচী অচিরেই আসবে। এখন হাসিনা সরকার ক্ষমতা ছেড়ে নিজের জীবন বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের যেন একজনও পালাতে না পারে সেজন্য পাহারা দেওয়ার আহবান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, এই সরকার গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমানকে জড়িয়েছে। বিএনপিকে এর জন্য দায় নিতে হবে বলে আওয়ামী লীগ বক্তব্য দিচ্ছে। তাহলেই সেটাই যদি হয় পিলখানায় নারকীয় হত্যাকা-, রমনার বটমুলে বোমা হামলা সহ প্রতিনিয়ত খুন, গুম , ধর্ষন ও নানাবিধ অত্যাচারের দায় বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে। ক্ষমতায় আসলে জনগণ তাদের আগে বিচার করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সেইসাথে আগামী সংসদ নির্বাচন নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে আদায়ে আন্দোলনে প্রতিটি ওয়ার্ড, থানা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও মহানগরে দূর্গ গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।

বিএনপি নেতা মিলন বলেন, বাংলাদেশের সকল মানুষ মহা সমস্যা নিয়ে এখন বসবাস করছে। কারো কোন প্রকার নিরাপত্তা নাই। যখন যা খুশি এই অবৈধ ও ফ্যাসিস্ট সরকার করে যাচ্ছে। দেশে এখন গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নাই। যাকে খুশি গ্রেফতার করছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে নির্যাতন ও হয়রানী করছে। খুন, গুম, নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। প্রাধন বিচারপতি এসকে সিনহাকে জর করে দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দিয়েছে। সাম্প্রতিক আবার বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ার‌্যমান তারেক রহমানকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় সাজা প্রদান করেছে। আর বেগম খালেদা জিয়াকে পুর্বেই জেলে রেখেছে। এই সরকারের একটাই উদ্দেশ্য জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করা এবং বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা। কিন্তু বাংলার মানুষ ও বিএনপি তা কোনদিন হতে দেবেনা। শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাবেন বলে তিনি ঘোষনা দেন।

তিনি বলেন, এই ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের নাগরীক। এমনকি তিনি ভারতেরও নাগরীক। এই নাগরীকের টান থেকে ভারতের নিকট দেশ বিক্রি করার জন্য উঠে পরে লেগেছে। তাদেরকে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। সেইসাথে নেতাকর্মীদের সরকার পতনের আন্দোলনে রাজপথে থাকার আহবান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে সুইট নেতাকর্মীদের এই সমাবেশে সময়মত আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মহানগর বিএনপি ও কেন্দ্রের যেকনো নির্দেশনা যুবদল অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। জীবন দিয়ে হলেও গণতন্ত্র রক্ষা এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবীর আন্দোলনে যুবদলের সকল নেতাকর্মী রাজপথে থাকবে বলে জানান তিনি। সেইসাথে তারেক রহমানের সাজা ও মামলা নিঃশর্ত প্রত্যাহারের দাবী জানান সুইট।প্রেস বিজ্ঞপ্তি )#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.