উপহার দিল চেন্নাই সাকিবদের দুঃস্বপ্ন
শুরুটা ঠিক মনমতোই হয়েছে চেন্নাইয়ের। ১৮০ রানের লক্ষ্য। প্রথম ৪ ওভারেই এসেছে ৩৬ রান। পঞ্চম ওভারেই বল দেওয়া হলো রশিদ খানকে। সে ওভারে মাত্র ৭ রান আসায় মনে হচ্ছিল, হায়দরাবাদের বোলিং বোধ হয় ফিরছে ছন্দে। কিন্তু সাকিবের প্রথম ওভারে এল ১০ রান। পাওয়ার প্লে বিনা উইকেটে ৫৩ রান নিয়ে শেষ করল চেন্নাই।
ম্যাচ জয় নিশ্চিত ছিল চেন্নাইয়ের এই রান রেট ধরে রাখলে। কিন্তু থিতু হয়ে যাওয়া রাইডু-ওয়াটসন তাতে সন্তুষ্ট হলেন না। তাই মাত্র ১১তম ওভারেই শত রান পেরিয়ে গেল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। এর আগেই অবশ্য ফিফটি পেয়ে গেছেন ওয়াটসন। ৩১ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। ঠিক ৩১ বলে ফিফটি পেয়েছেন রাইডুও। তবে ওয়াটসনের চেয়ে একটি চার বেশি মেরেছেন রাইডু।
ফিফটি ছুঁয়েই ওয়াটসনকে দৌড়ে ছিটকে ফেলে দিলেন রাইডু। ফিফটির পর যেখানে মাত্র একটি চার ওয়াটসনের, সেখানে তিন ওভারের মধ্যেই আরও ৩ ছক্কা ও ১ চার রাইডুর। তখন মনে হচ্ছিল আজ ১০ উইকেটেই হারবে হায়দরাবাদ। কিন্তু সাকিবের তৃতীয় ওভারে দ্রুত রান নিতে গিয়ে রান আউট হন ওয়াটসন (৩৫ বলে ৫৭)। ত্রয়োদশ ওভারে প্রথম উইকেট হারানো চেন্নাই পরের ওভারেই হারিয়েছে দ্বিতীয় উইকেট। সদ্য নামা সুরেশ রায়না স্লগ করতে গিয়ে মিড অফে কেন উইলিয়ামসনের দারুণ এক ক্যাচের শিকার হন। এতেও চেন্নাইয়ের সহজ জয় আটকাতে পারেনি হায়দরাবাদ। চারে নামা ধোনিকে (২০*) নিয়ে বাকি কাজটা সেরে নিয়েছেন রাইডু। ৬২ বলে ৭ চার ও ৭ ছক্কায় ঠিক ১০০ রান করে অপরাজিত ছিলেন রাইডু।
পরিচিত ছন্দে এর আগে হায়দরাবাদের ইনিংসটা এগিয়েছিল। প্রায় প্রতি ম্যাচের মতোই আগে ভাগে বিদায় নিয়েছেন শিখর ধাওয়ানের উদ্বোধনী সঙ্গী। এর পর ধাওয়ান ও উইলিয়ামসন মিলে দলকে এনে দিয়েছেন দারুণ এক ভিত্তি। ১৫ ওভার শেষে ১৩৫ রান ছিল হায়দরাবাদের। এমন অবস্থায় দুই শ ছাড়ানোর কথা ভাবাটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু ১৪১ রানে পরপর দুই বলে আউট হয়েছেন ধাওয়ান (৪৯ বলে ৭৯) ও উইলিয়ামসন (৩৯ বলে ৫১)। মিডল অর্ডারে নামা ব্যাটসম্যানদের মাঝে শুধু দীপক হুদাই (১১ বলে ২১) দ্রুত রান করতে পেরেছেন। বাকিদের ব্যর্থতায় রানটা ১৭৯-এর চেয়ে বাড়েনি। ৬ বলে ৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন সাকিব। বল হাতে ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।#
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.