বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ফিলিস্তিনের গাজার উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দিতে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ ইসরায়েলের বাধা ও ধরপাকড়ের পরও এগিয়ে যাচ্ছে।
এই নৌবহরে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌকা রয়েছে, যেগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করছেন।
গতকাল বুধবার রাতের দিকে ফ্লোটিলার ১২৯ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরে ইসরায়েলি বাহিনী নৌবহরে হস্তক্ষেপ করে।
অন্তত আটটি নৌকা থামিয়ে দেওয়া হয়—দেইর ইয়াসিন, হিউগা, স্পেক্টার, আদারা, আলমা, সিরিয়াস, আরোরা ও গ্রান্ডি ব্লু। রয়টার্সের খবরে ১৩টি নৌকা থামানোর তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। নৌকাগুলো থেকে কিছু অধিকারকর্মীকে আটক করা হয়, যার মধ্যে সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আটককৃতরা নিরাপদ এবং বন্দরে নেওয়া হচ্ছে।
ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা।
এতে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ৪৪টি দেশের মানুষ অংশগ্রহণ করছেন।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী।
এই বহর প্রথম ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে, এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান যুক্ত হয়। পরে গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকেও কিছু নৌকা অন্তর্ভুক্ত হয়।
ইসরায়েল শুরু থেকেই দাবি করছে, ফ্লোটিলার কিছু নৌকার সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সম্পর্ক রয়েছে। তবে এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখানো হয়নি। ইসরায়েলের বাধা না পেলে নৌবহরটি বৃহস্পতিবার সকালে গাজার উপত্যকায় পৌঁছানোর কথা ছিল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল নির্বিচার হামলা চালিয়ে আসছে। এই হামলায় গত দুই বছরে প্রায় ৬৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি গাজা অবরোধ করা হয়েছে, ফলে সেখানে খাদ্য সংকট তীব্র এবং বাসিন্দাদের অনাহার–অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.