ইসরাইলনীতি পালটাবেন না কমলা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলনীতি পালটাবেন না ডেমোক্রেট মনোনীত প্রার্থী কমলা হ্যারিস। পাশাপাশি ইসরাইলকে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবেও দেখতে চান বলে জানান তিনি। এমনকি গাজায়ও দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান কমলা।
বৃহস্পতিবার সিএনএনের ডানা বাশকে দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন কমলা। সেই সাক্ষাৎকারে সরকার, রাজনীতি, অর্থনীতি, সীমান্তনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, জ্বালানিনীতি, অভিবাসনসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ উঠে আসে।
নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বাইডেন বদলি ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে গাজা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি আবারও বলেছেন, ইসরাইল ও গাজার মধ্যে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান চান।
গত অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরাইল ও হামাসের যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। এই যুদ্ধে ইসরাইলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ও সহায়তার প্রতিবাদে দেশটিতে বিক্ষোভ হয়েছে ও হচ্ছে। গত জুলাই মাসের শেষদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন কমলা হ্যারিস। এই বৈঠকে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি জোরালো বক্তব্য দেন।
কমলা বলেন, ‘এই দুঃখজনক ঘটনাগুলোর আমরা মুখোমুখি হতে পারি না। আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না।’ তবে ইসরাইলনীতিকে সমর্থন করতে মার্কিননীতি মেনে চলবেন তিনি। কমলা বলেছেন, ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
দেশটি কীভাবে আত্মরক্ষা করে সেটি গুরুত্বপূর্ণ। গাজায় বেসামরিক মানুষ নিহত, মানবিক বিপর্যয়, ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে নেতানিয়াহুর কাছে উদ্বেগ জানান হ্যারিস। এরপর নিজ দেশের বিষয়ে কমলা উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের এখন দিনবদলের সময়। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দেবেন বলেও জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার প্রথম ও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারগুলোর একটি হবে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে সমর্থন দেওয়া, শক্তিশালী করা।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি ইঙ্গিত করে কমলা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন একজন প্রেসিডেন্ট পেয়েছিল, যার এজেন্ডা ছিল দেশের বৈশিষ্ট্য ও শক্তিকে খর্ব করা। জাতিকে বিভক্ত করা। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ এখন দিন বদল করতে প্রস্তুত। এ ছাড়াও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে মন্ত্রিপরিষদে একজন রিপাবলিকান রাখবেন কমলা হ্যারিস।
যুক্তরাষ্ট্রই হবে বিশ্বের ক্রিপ্টো মুদ্রার রাজধানী-ট্রাম্প: মার্কিন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের ক্রিপ্টোকারেন্সির রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টে এক ভিডিওবার্তার মাধ্যমে এ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। আরটি এক প্রতিবেদনে জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসাবে জয়ী হলে তিনি দেশটিকে বিশ্বের ক্রিপ্টোকারেন্সির রাজধানী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবেন। এরই মধ্যে এ নিয়ে একটি পরিকল্পনাও তৈরি করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পই ছিলেন প্রথম, এছাড়াও আইভিএফ প্রজননে আগ্রহীদের বিনামূল্যে সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। যেসব মার্কিন নাগরিকের ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) নামক প্রজননপদ্ধতিতে চিকিৎসা নেওয়া দরকার, তাদের সবাইকে বিনামূল্যে এ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এমন সুবিধা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। তবে কীভাবে এর খরচ মেটানো হবে, তা বলেননি ট্রাম্প।
২০২২ সালে মার্কিন সুপ্রিমকোর্ট গর্ভপাতের অধিকারকে কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষা দেওয়ার রায় দেন। তখন থেকে প্রজননের অধিকারসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে বড় ধরনের বেকায়দার মধ্যে আছেন রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প।
মিশিগানের পটারভিলে এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আমি আজ বড় একটি ঘোষণা দিচ্ছি। আর তা হলো আইভিএফ চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট সব খরচ ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে আপনাদের সরকার কিংবা আপনাদের বিমা কোম্পানি বহন করবে।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.