আরএমপি’র চন্দ্রিমা থানার অভিযানে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

আরএমপি প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো: মিজানুর রহমানকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি’র চন্দ্রিমা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো: মিজানুর রহমান (৩০) রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার মো: গোলাপ হোসেনের ছেলে।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার মুশরইল এলাকার মো: হায়দার তালুকদারের ছেলে সাব্বির (২২) একজন ছাত্র। তার সাথে আসামি মিজানুর রহমান এবং পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ, গোলাপ ও অন্তরের অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
গতকাল ২৭ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাত ৮ টায় সাব্বিরের সঙ্গে আসামিদের ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া কৌটাপুকুর মোড়ে দেখা হলে তাদের সাথে বাকবিতন্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে আসামিরা তাকে এলোপাথাড়ি মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ, গোলাপ ও অন্তর সাব্বিরকে ধরে রাখে এবং মিজানুর চাকু দিয়ে তার বুকের বাম পার্শ্বে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এসময় স্থানীয় লোকজন সাব্বিরকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে রাত ১০ টায় সাব্বির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এঘটনায় সাব্বিরের বাবা চন্দ্রিমা থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতি: ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) বিভূতি ভুষন ব্যানার্জী, পিপিএম এর দিকনির্দেশনায় চন্দ্রিমা থানা পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করে।
পরবতীতে গতকাল ২৭ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ দিবাগত রাত পৌনে ২ টায় চন্দ্রিমা থানার এসআই মো: রেজাউল করিম ও তাঁর টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মিজানুরকে ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া কৌটাপুকুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক মো: জামিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.