নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের গোদাগাড়ী ইউনিয়ন এই মৌসুমে আলুর চাষে রেকর্ড স্পর্শ করেছে। আবহাওয়া অনুকৃলে থাকায় এবং আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির প্রয়োগে আলুর খেতগুলো সবুজের সমারোহে ডুবে আছে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত গাছে কোনো মড়ক বা ধসা জাতীয় রোগ দেখা দেয়নি।
গোদাগাড়ীর কৃষকরা মূলত ডায়মন্ড, এস্টারিক্স এবং কার্ডিনাল জাতের আলু বেশি চাষ করেছেন। তবে অধিক ফলনের আশায় বার্মা, গ্রানোলা ও কুপরিসুন্দরী জাতের আলুও আবাদ করা হয়েছে। কৃষকরা প্রত্যাশা করছেন প্রতি বিঘা জমি থেকে ১০০ থেকে ১২০ মণ আলু পাওয়া সম্ভব।
কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রতি বিঘা জমিতে আলু রোপণের খরচ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া সারের ঘাটতি এবং মূল্যবৃদ্ধি চাষীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ মোঃ আল-আমিন হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকৃলে থাকায় এবং আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির প্রয়োগে আলুর বাম্পার ফসলে সম্ভবনাদেখা দিয়েছে। নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের সঠিক সময়ে সেচ ও নিড়ানি কাজে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষি নির্ভর গোদাগাড়ী উপজেলায় আলু চাষের এই বাম্পার ফলন কেবল কৃষকের আয় নয়, পুরো এলাকার অর্থনীতিকেও উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা রাব্বানী / রাজশাহী। #















