সান্তাহার (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরে রাতের গামছার হাট নামে একটি ঐতিহাসিক হাট কয়েক যুগ ধরে বসে। সপ্তাহের প্রতি বুধবার এই হাটটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত্রে থেকে ব্যবসায়ীরা গামছা নিয়ে আসেন বিক্রির উদ্দেশ্য। এখানকার অধিকাংশ খদ্দের পাইকার। প্রতি হাটে কয়েক লক্ষাধিক টাকার গামছার কেনাবেচা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সান্তাহার ঐতিহাসিক রাধাখান্ত হাটে প্রতি বুধবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান বিশেষ করে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া প্রভৃতি জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা গামছা নিয়ে আসে। ক্রেতারা রাতেই সে সব গামছা কিনে নেন। এসব ক্রয় করা গামছা ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যায়। প্রতি বুধবার অনুষ্ঠিত হওয়া এই রাতের হাটে পাইকারি ভাবে এবং খুচরা ভাবে কয়েক লক্ষ টাকার গামছা বিক্রি হয়।
আবু হাসান নামে একজন গামছা বিক্রেতা(৫৮) বলেন, আমি এই হাটে প্রায় ১৫ বছর ধরে ব্যবসা করছি। প্রতি হাটে আমি সিরাজগঞ্জ থেকে প্রায় ১৫/২০ হাজার বিভিন্ন দামের ও সাইজের গামছা নিয়ে এসে বিক্রি করি। লাভ মোটামাটি ভালই হয়। তবে এখন গামছার কাঁচামাল সুতা, রং, কর্মচারীর বেতন ইত্যাদির দাম বেড়েছে। ফলে আগের মত ওতটা মুনাফা হয় না। আগের দিন গামছা নিয়ে এসে হাটে বিক্রি করে আবার দিনে দিনে বাড়ি ফিরতে পারি। হাটে ইজারাদের টাকা দিতে হয় ব্যবসার জন্য।
মোঃ নেহাল নামে একজন গামছা ক্রেতা জানান, আমি প্রতিহাটে প্রায় ১০/১২ হাজার গামছা কিনি পাইকারি দামে। এসব গামছা ঢাকার বাবু বাজারে চলে যায়। ব্যবসা ভালই হয়। আমি ৫ বছর ধরে এই হাটে ব্যবসা করছি। এই হাটে আমি সিরাজগঞ্জের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গামছা কিনি।
করি বন্দে আলী মিঞার পুত্র ও স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ জাহেদুল ইসলাম জানান, আমার বাড়ির পাশে এই রাধাকান্ত হাট। আমারা ছোটবেলা থেকেই এখানে গামছার হাটটি দেখে আসছি। হাটটি অতি প্রাচীন ও বিখ্যাত। এখানকার অনেক স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই হাটের ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে লাভবান ও স্বাবলম্বী হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সান্তাহার (বগুড়া) প্রতিনিধি মো. রবিউল ইসলাম (রবীন)। #















