BTC News | বিটিসি নিউজ

আজ- বৃহস্পতিবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৫ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি

আজ- ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সান্তাহার পুরাতন কাপড়ের বাজারে মানুষের উপচে পড়া ভীড়

শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সান্তাহার পুরাতন কাপড়ের বাজারে মানুষের উপচে পড়া ভীড়

সান্তাহার (বগুড়া) প্রতিনিধি: শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভায় পুরাতন কাপড়ের বাজারে বর্তমান মানুষের উপচে পড় ভীড়। উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বড় এই মাকের্টে প্রতিদিন এখন শত শত ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত বর্তমান এই এলাকা।

এখানে দুর-দুরান্ত থেকে খুচরা- পাইকাররা তাদের চাহিদা মত পুরাতন কাপড় কিনে নিয়ে যান। প্রতিদিন এই পুরাতন কাপড়ের বাজারে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার বিভিন্ন আইটেমের কাপড় বিক্রি হয় বলে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, ডিসেম্বর মাস থেকে এই মার্কেটের বিক্রি বৃদ্ধি পায়।

বড় মার্কেটের তুলনায় এখানে অপেক্ষাকৃত কম টাকায় কাপড় ও অনান্য কাপড়ের পন্য কিনতে পাওয়া যায় বলে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে ক্রেতারা আসেন। ৫০ টাকা থেকে ৩০০০ হাজার টাকার বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের সামগ্রি পাওয়া যায়।

জানা গেছে, দেশের ঢাকা,চট্রগ্রাম থেকে পাইকাররা পুরাতন কাপড় কিনে নিয়ে এসে এখানে বিক্রি করেন। প্রায় ৩০০টি দোকান এই মার্কেটে আছে। স্থানীয়ভাবে মার্কেটটি ’গাউনপট্রি’ নামেই পরিচিত। স্বাধীনতা স্মৃতিস্থম্ভের পাশে রেলওয়ের একটি পরিত্যক্ত মাঠে এই বিপনীবিতানটি গড়ে উঠেছে।

সরজমিনে আজ (বৃহস্পতিবার) সান্তাহার পুরাতন কাপড়ের বাজারের গিয়ে দেখা যায়,প্রচন্ড শীতের মধ্যে শত শত ক্রেতা দুর দুরান্ত থেকে পুরাতন কাপড়ের দোকানে তাদের পছন্দমত এবং চাহিদামত পুরাতন কাপড় কিনছে। এই বাজারে সাধারনত পুরাতন জ্যাকেট,সুয়েটার,শার্ট,প্যান্ট,কোট,কোটি,কম্বল,চাদর, শিশুদের নানা পুরাতন কাপড় প্রভৃতি বিক্রি হয়।

মৌসুমী ব্যবসায়ীরা প্রতিবছর শীত মৌসুমে রেলওয়ে জমির উপর এখানে পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা করেন। চট্রগাম.ঢাকা থেকে গ্যাট (ব্যান্ডিল) আকারে পাইকারা রা পুরাতন কাপড় ট্রাকে করে সান্তাহারে নিয়ে আসেন। তাঁদের কাছ থেকে খুচরা কাপড়ের ব্যবসায়ীরা কাপড় কিনে বিক্রি করেন এই বাজারে।

নওগাঁ, রানীনগর, জয়পুরহাট, আত্রাই আদমদীঘি, নশরৎপুর, নাটোর, আব্দুলপুর, রাজমাহী প্রভৃতি এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত খদ্দের এই বাজারে আসেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখানে কেনাকাটা হয়।

নানা মানের, নানা মুল্যের শীতের কাপড় এই বাজারে পাওয়া যায়। তবে ভাল মানের একটা সুয়েটার ২০০/৩০০ টাকা, জ্যাকেট ৪০০/৫০০, শীতের কম্বল ১২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। প্রায় ৩০০ টি শীতের কাপড়ের দোকান এই বাজারে আছে। এ ছাড়া নানা বয়সের মানুষের সুয়েটার,চাদর, কম্বল, কোট ইত্যাদি পুরাতন কাপড় পাওয়া যায়।

জাহেদুল নামে একজন মৌসুমী কাপড়ের বিক্রেতা জানান,বছরের এই সময় তিন মাস এই পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা করি। আয় ভালই হয়। আমরা পাইকাইদের কাছ থেকে গ্যাট কিনে নেই। বিভিন্ন মানের ও বিভিন্ন তা দরে বিক্রি হয়।

নওগাঁ জেলা থেকে আসা রীতামনি নামে এক মহিলা ক্রেতা জানান,আমরা পরিবারসহ এসেছি। বেশ কিছু পুরাতন কাপড় কিনেছি। প্রতি বছরাই আসি। এখানে অপেক্ষাকৃত কম দামে ভাল পুরাতন কাপড় পাওয়া যায়। একটা জ্যাকেট৫০০/৭০০ টাকা দিয়ে কিনে একজন শ্রমজীবী মানুষ ৫/৭ বছর অনায়াসে পড়তে পারে।

এই পুরাতন কাপড়ের বাজারকে ঘিরে প্রায় শতাধিক চা,পান.পিঠা,কলা, ভাতের হোটেল, চানাচুর ভাজা প্রভৃতি দোকান গড়ে উঠেছে। এইসব দোকানকে কেন্দ্র করে প্রায় ৪০০/ ৫০০ মৌসুমী শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানালেন সান্তাহার নাগরিক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রবিঊল ইসলাম।

সবচেয়ে বড় কথা হলো সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের তীব্র শীতে এসব কাপড় আর্শিবাদ হয়ে এসেছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সান্তাহার (বগুড়া) প্রতিনিধি মো. রবিউল ইসলাম (রবীন)। #

এইরকম আরও খবর

সর্বশেষ খবর

ব্রেকিং নিউজ